বড় মোড় কংগ্রেস রাজনীতিতে। দল ছাড়লেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ও অন্যতম বড় নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়া। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রায় আধ ঘণ্টার ওপর চলে বৈঠক। তারপর শাহর সঙ্গে সেখান থেকে চলে আসেন সিন্ধিয়া।
বৈঠকে কী হল, তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু তারপরেই কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে দল ছাড়ার চিঠি পাঠিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
অন্যদিকে তিনি ইস্তফা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দল-বিরোধী কাজের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল জানান যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
এরপরেই ইস্তফা দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৯ বিধায়ক। ফলে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের পতন কার্যত অনিবার্য। সোমবার গভীর রাতে সরকার বাঁচানোর জন্য মন্ত্রীসভা ভেঙে দেন কমলনাথ। ২৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। সেখানেই সবাই ইস্তফা দেন।
অন্যদিকে একদিকে যখন সিন্ধিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছেন মোদী-শাহ, অন্যদিকে বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হচ্ছে ভোপালে। কংগ্রেসের কমলনাথ বৈঠক করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য।
জানা যাচ্ছে, জ্যোতিরাদিত্যের মানভঞ্জনের জন্য সচিন পাইলটকে বলেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সচিনের সঙ্গে কথাই বলেননি সিন্ধিয়া।
আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে কে মনোনীত হবে, সেই নিয়েই প্রাথমিক ভাবে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেটিই এখন কংগ্রেসের জন্য বড় সংকটে পরিণত হয়েছে।
২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১১৪ বিধায়ক আছে। বিজেপির আছে ১০৭। বিএসপির দুইজন, সপার একজন ও চারজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার চালাচ্ছে কংগ্রেস। এবার সেই সরকার পড়ল গভীর সংকটে।