স্ত্রী'কে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে ডিজি পদমর্যাদার এক শীর্ষ পুলিশ অফিসার পুরুষোত্তম শর্মাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। যিনি ডিরেক্টরেক্ট অফ পাবলিক প্রসিকিউশনের দায়িত্বে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁকে কোথায় নয়া পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদিও তাঁকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পুরুষোত্তম। তিনি বলেন, 'আমি কোনওরকম হিংসায় যুক্ত নই। এটা আমার ও আমার স্ত্রী'র মধ্যেকার বিষয়। ২০০৮ সালেও ও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। আমরা ৩২ বছর ধরে বিবাহিত। ও আমার সঙ্গে থাকছে এবং সব রকমের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। এমনকী আমার খরচে বিদেশে যাচ্ছিল। ও যদি আমার উপর ক্ষুব্ধ থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে থাকার যুক্তি কী!'
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঁচ মিনিটের সেই মারধরের ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী'কে ধাক্কা ঠেলছেন, মারছেন এবং চেপে ধরছেন। উলটে ফেলে দিতেও দেখা যায়। সেই সময় সামনে দু'জন থাকলেও তাঁরা আটকানোর চেষ্টা করেননি। একজন কিছু বলার চেষ্টা করলেও অন্যজন কার্যত দাঁড়িয়ে মারধরের ঘটনা দেখছিলেন। সেই ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, তিনি আদতে পুরুষোত্তম বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। অপর দু'জন সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত কর্মী।
সূত্রের খবর, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এবং পুলিশের ডিজি বিবেক জোহরিকে চিঠি লিখেছিলেন পুরুষোত্তমের ছেলে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমের থেকে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আমি বিষয়টি দেখব।’ পুরষোত্তমের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই প্রশ্নের জবাবে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যদি লিখিত অভিযোগ আসে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাবে। (ভিডিয়োটা) আমিও দেখেছি।'
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভা ওঝা জানান, আগামী ৫ অক্টোবর পুরুষোত্তমকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী'কে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের বলা হয়েছে। পুরো ঘটনা নিয়ে 'হিন্দুস্তান টাইমস'-এর তরফে একাধিকবার পুরুষোত্তমের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।