বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে মেয়র পদের ভোটে কার্যত ২০০৯ সালের পর সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরেছে কংগ্রেস। পুরভোটের লড়াইয়ে ৭ টি আসন খুইয়েছে বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের শাসনে থাকা মধ্যপ্রদেশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমারের মোরেনা এলাকায় মেয়র পদের লড়াই হেরে গিয়েছে বিজেপি।
এখানেই শেষ নয়, ২৪ বছর পর মধ্যপ্রদেশের রেওয়া কেন্দ্র থেকে ফের জয়লাভ করে কার্যত বিজয় ডঙ্কা বাজিয়েছে কমল নাথের দল। মধ্যপ্রদেশের ১৬ টি পুরসভা কর্পোরেশন ভোটে বিজেপি প্রথমের দিকে ৯ টিতে দখল রেখেছিল। ৫ টি দখলে রেখেছে কংগ্রেস। একটি করে আসনে আম আদমি পার্টি ও নির্দল জয়ী হয়েছে। গণনায় যত দিন গড়িয়েছে ততই কংগ্রেসের হাসিমুখ চওড়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক শক্তির শেষ লজডাই দেখা গিয়েছে ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। তরপর শহরাঞ্চলে এই ২০২২ সালের ভোট। প্রসঙ্গত, এবারের ভোটে বিজেপির বিজয়রথে কংগ্রেসের ধাক্কার পাশাপাশি আলাদা করে নজর কেড়েছে আম আদমি পার্টি ও এআইএমআইএম। যারা প্রথমবার এই ভোটে অংশ নেয়। সিংরৌলিতে মেয়র পদে আম আদমি পার্টির প্রার্থীর জয়, গোয়ালিয়ারে পাঁচ দশক পর কংগ্রেসের জয় কার্যত ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য বিজেপি শিবিরকে। ২.৬ কোটি টাকার তিমির বমি উদ্ধার! মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে বড়সড় সাফল্য
এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে, আম আদমি পার্টি ৪০ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলার পদে জয় লাভ করেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসকে হারিয়ে এআইএমএমএর বুরহানপুর আসন ৫৪২ টি ভোটে জয়লাভ করেছে সোহেল হাশমি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআইএমআইএম মূলত কংগ্রেসের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে মুসলিম ভোটের নিরিখে। যদিও কংগ্রেসের দাবি আসাদউদ্দিন ওয়েইসির পার্টি আসলে বিজেপির বি টিম। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞর মতে,'বিধানসভা শক্তির সমান অনুপাতে বিজেপি ও কংগ্রেস জিতেছে। মেয়র নির্বাচনে বিজেপি ৬০ শতাংশ আসন জিতেছে এবং কংগ্রেস ৪০ শতাংশ আসন পেয়েছে।' তাঁরা বলছেন, তবে এটি বিজেপির জন্য উদ্বেগজনক কারণ বিজেপি বিন্ধ্য এবং চম্বল অঞ্চল থেকে হেরেছে যেখানে ভোটাররা অপ্রত্যাশিত এবং বিএসপি সহ যে কোনও দলকে ভোট দিতে পারে। এই জায়গা থেকে পদ্মশিবিরের থিঙ্কট্যাঙ্ক কোনপথে হাঁটে মধ্যপ্রদেশের আগামীর রাজনীতিতে সেদিকে নজর সকলের।