বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ফলেই আইপিএস স্বামীর ক্ষোভের মুখে পড়েন বধূ। তার জেরেই জোটে বেধড়ক মারধর। মধ্য প্রদেশের অপসারিত ডিআইজি পুরুষোত্তম শর্মাকে ঘিরে জটিলতর হল পরিস্থিতি।
এক টিভি চ্যানেলের সঞ্চালিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন পুরুষোত্তমের স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া জোড়া ভিডিয়োর প্রথমটিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার বাড়িতে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন পুরুষোত্তম। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হন তাঁর স্ত্রী। তার পরেই দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে দেখা যায় এবং সেই অবস্থাতেই ওই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান দম্পতি।
দ্বিতীয় ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নিজের বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে ফের কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন পুরুষোত্তম শর্মা। তার পরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তিনি। এমনকি মারতে মারতে মেঝেয় ফেলেও কমে না তাঁর ক্ষোভ। বাড়িতে উপস্থিত তাঁর দুই সহকারীর মধ্যে একজন আইপিএস আধিকারিককে বোঝানোর চেষ্টা করলেও অন্য জন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে মধ্য প্রদেশ প্রশাসনের। ডিরেক্টরেক্ট অফ পাবলিক প্রসিকিউশনের দায়িত্ব থেকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় পুরুষোত্তম শর্মাকে। ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে জবাবদিহিও করা হয়েছে। যদিও তিনি সমস্ত অভিযোগ অশ্বীকার করে বিষয়টি একান্তই ঘরোয়া বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেন।
সূত্রের খবর, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এবং পুলিশের ডিজি বিবেক জোহরিকে চিঠি লিখেছিলেন পুরুষোত্তমের ছেলে।
অন্য দিকে, দুঃসময়ে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে উলটে মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন পুরুষোত্তম শর্মার মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়া চিঠি পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন তাঁর মা।
যে টিভি চ্যানেল সঞ্চালিকার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন আইপিএস-এর স্ত্রী, তিনি আবার শাহপুরা থানায় পালটা মানহানির অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, পুরুষোত্তমকে তিনি বাবার সমান মর্যাদা দেন এবং তাঁদের সম্পর্কও বাবা-মেয়ের মতোই। সব জেনেও পুরুষোত্তমের স্ত্রী দুর্নাম রটিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ সঞ্চালিকার। তিনি লিখেছেন, এক কাপ চা খেতেই সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন ওই আইপিএস আধিকারিক।
মঙ্গলবার ভোপালের মহিলা পুলিশকর্মীদের এক দল নিগৃহীতা বধূর সঙ্গে দেখা করলেও স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজি হননি পুরুষোত্তমের স্ত্রী।