বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > তামিল নাডুতে পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যু মামলায় প্রধান সাক্ষীকে পুলিশি নিরাপত্তা

তামিল নাডুতে পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যু মামলায় প্রধান সাক্ষীকে পুলিশি নিরাপত্তা

পুলিশ হেফাজতে বন্দিমৃত্যু মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে ম্যাড্রাস হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে উপস্থিত হলেন থুতুকুডির ডিএসপি এবং অতিরিক্ত এসপি। ছবি: এএনআই।

সাথানকুলাম থানার ইন্সপেক্টর শ্রীধর, দুই সাব-ইন্সপেক্টর বালাকৃষ্ণণ ও রঘু গনেশ এবং কনস্টেবল মুরুগনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তামিল নাডুতে পুলিশ হেফাজতে বন্দি মৃত্যুর মামলায় ৪ পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করার পরে বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান সাক্ষীদের বয়ান শুনল ম্যাড্রাস হাইকোর্টের বেঞ্চ। 

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক থানার এক মহিলা হেড কনস্টেবলের বয়ান ও ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পি জয়রাজ (৫৯) ও তাঁর ছেলে জে বেনিক্সকে (৩১) হত্যার অভিযোগে সাথানকুলাম থানার ইন্সপেক্টর শ্রীধর, দুই সাব-ইন্সপেক্টর বালাকৃষ্ণণ ও রঘু গনেশ এবং কনস্টেবল মুরুগনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, দুই বন্দিকে রাতভর বেধড়ক মারধর করেন এই ৫ পাঁচ পুলিশকর্মী। 

এ দিকে গত ৩০ ডজুন আদালত জানায়, অজ্ঞাতনামা মহিলা কনস্টেবলের উপরে চাপ তৈরি করে তাঁর বয়ান পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণে তাঁর আর্জির ভিত্তিতে বাড়িতে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হবে। এর জেরে জেলাশাসক সন্দীপ নন্দুরিকে মহিলা কনস্টেবলের বাড়িতে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 

হিন্দুস্তান টাইমসকে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি পাহারা দিতে দু জন পুরুষ ও দু জন মহিলা পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন কোবিলপট্টির দায়রা বিচারক এম এস বারথিদশনের কাছে নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেন মামলার এই প্রধান সাক্ষী। তিনি জানিয়েছেন, ১৯ জুন গ্রেফতার করার পর সারারাত পুলিশ হাজতে জয়রাজ ও বেনিক্সকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। প্রহারে ব্যবহার করা লাঠি এবং রক্তমাখা টেবিল উদ্ধার করার জন্যও তিনি আদালতকে জানান। 

গত ৩০ জুন দায়রা বিচারপতি বারথিদশনকে মহিলা পুলিশকর্মীর আসল বয়ানটি তদন্তকারী অফিসার তিরুনেলভেলির ডেপুটি পুলিশ সুপার নিল কুমারকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয় ম্যাড্রাস হাইকোর্ট। সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার আগে তিনিই আপাতত অনুসন্ধানের দায়িত্বে রয়েছেন।

 

বন্ধ করুন