জামশেদপুর থেকে ধরা পড়ল ফেরারি মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহচর আবদুল মাজিদ কুট্টি। শনিবার গভীর রাতে মাঙ্গো থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন গুজরাত সন্ত্রাস দমন শাখার সদস্যরা।
১৯৯৭ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে বিস্ফোরণ ঘটাতে পাকিস্তানি সংস্থার নির্দেশে দাউদ ইব্রাহিমের পাঠানো বিস্ফোরক ও অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় গত ২৪ বছর ধরে সে গা-ঢাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সময় মাজিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
গুজরাতের মেহসানা থানায় দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের দুধসাগর ডেয়ারির কাছে বম্বে গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালিয়ে ধৃতের থেকে ৪ কেজি আরডিএক্স, ১১৫টি পিস্তল, পাকিস্তানে তৈরি ৭৫০ রাউন্ড গুলি এবং ১০টি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছিল।
জামশেদপুরের এসএসপি ডক্টর এম তামিল ভানন জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার সকালে শহরে পৌঁছয় গুজরাত এটিএস দল। তাঁরা হারুন রশিদের ছেলে মহম্মদ কামাল সম্পর্কে খোঁজখবর করেন। গত সন্ধ্যায় মাঙ্গো চকে তাকে গাড়ির ভিতর থেকে গ্রেফতার করে মাঙ্গো পুলিশ ও গুজরাত এটিএস-এর যৌথ বাহিনী। জেরায় জানা যায়, ধৃতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের যোগ রয়েছে এবং সে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে মালয়েশিয়া, দুবাই ও ব্যাংককে ভুয়ো পাসপোর্ট ও পরিচয় দিয়ে মহম্মদ কামাল নামে বসবাস করছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আবদুল মাজিদ কুট্টি মাঙ্গো থানার অন্তর্গত সাহারা সিটি কমপ্লেক্সে আত্মগোপন করেছিল। আসল নাম আবদুল মাজিদ কুট্টি হলেও সে সেখানে মহম্মদ কামাল নামে বাস করছিল। তাকে গ্রেফতার করে শহর থেকে নিয়ে গিয়েছে গুজরাত এটিএস।’
পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানের বারমের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে পাচারের জন্য বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র এসে পৌঁছয় মাজিদের হাতে। পাচারের জিনিস আমদাবাদ ও মুম্বইয়ে পাঠানোর কথা ছিল। আদতে কেরালার বাসিন্দা আবদুল মাজিদ জামশেদপুরের সাহারা সিটি কমপ্লেক্সের এক বিলাসবহুল ডুপ্লে বাংলোয় থাকছিল।