মহারাষ্ট্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে খুশি দুই পক্ষই। একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে আছে মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ)। বিজেপি খুশি কারণ বৃহত্তম দল তারা, অন্যদিকে জোট হিসেবে এমভিএ বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে। গত সপ্তাহে হয়েছিল মহারাষ্ট্রে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সোমবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১.২৫ লাখ প্রার্থী জয় যুক্ত হয়েছেন। সরাসরি রাজনৈতিক দলের প্রতীকে এই ভোট হয় না। তবে রাজনৈতিক দলগুলিই প্রার্থী দেয়।
মোট ১২,৭১১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছে ৩৬টির মধ্যে ৩৪টি জেলায়। মোট আসন সংখ্যা ছিল ১২৫৭০৯। এর মধ্যে ২৬,৭১৮ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত হন প্রার্থীরা।
সবমিলিয়ে, সন্ধ্যা সাতটা অবধি প্রাপ্ত রেজাল্ট অনুযায়ী, জোট প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতেছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দলগত ভাবে প্রথম স্থানের জন্য। দুই দলই কুড়ি শতাংশের মতো আসন পেয়েছে।
মোট ৯৬০০ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল এখনও পর্যন্ত বেরিয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ও সেনা দুই হাজারের ওপর পঞ্চায়েতে জিতেছে। এনসিপি জিতেছে ১৯০০ ও কংগ্রেস ১৫৫০। এছাড়াও স্থানীয় প্যানেলরা প্রায় ২১০০ পঞ্চায়েতে জিতেছে।
এদিন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার বলেন যে নির্বাচনে দুর্ধর্ষ ফল করেছে মহা বিকাশ আঘাদি। নিজেদের দুর্গ ধরে রাখতে পেরেছে তারা। ধীরে ধীরে রাজ্যে বিজেপির প্রভাব কমছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরেক এনসিপি নেতা তথা গৃহমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন যে তারা খুব বড় জয় পেয়েছেন। কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেন ৮০ শতাংশ আসনে জোট জিতেছে। অন্যদিকে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বলেন যে বিজেপি একক বৃহত্তম শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। অনেক স্থানে দল শক্তি বৃদ্ধি করেছে বলে তিনি দাবি করেন। এই ফলাফলের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে মানুষ বার্তা দিচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের দাবি যে তারা ৬ হাজারের বেশি পঞ্চায়েতে জিতবেন।
তবে গণনায় যুক্ত অফিসারদের মতে, আপাতত সঠিক ভাবে কোন দলের সমর্থকরা কত আসন পাচ্ছে, সেটা বলা শক্ত। সরপঞ্চ অর্থাৎ পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের পরেই কিছুটা পরিস্থিতি সাফ হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।