কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নানের প্রথমদিনে কতজন ডুব দিলেন? এই প্রশ্ন এখন খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ সংখ্যাটা তেমনই। এখানে পৌষ পুর্ণিমার প্রথম স্নান রবিবার হয়েছে। যে স্নানকে অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যলাভ হয় বলে কথিত আছে। গঙ্গা, যমুনা এবং স্বরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল মহাকুম্ভ নগরে ৫০ লক্ষ মানুষ প্রথম স্নান করলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ পুণ্যার্থী এখানে ভিড় জমান প্রত্যেকবার। তবে এই কুম্ভস্নান এবং মেলা থেকে বিপুল পরিমাণ রোজগার হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
এদিকে পুরুষ, মহিলা, প্রবীণ এবং শিশু যেমন এখানে ভিড় জমান তেমনই প্রচুর সংখ্যক সাধু–সন্ন্যাসী এখানে ভিড় করেন। কারণ একটাই। পুণ্যলাভ করতে হবে। তাই তো এই পুণ্যস্নান করতে আসা। এই তিন নদীর সঙ্গমস্থলে স্নানের পাশাপাশি নানা পবিত্র রীতিনীতি পালন করা হয়। আর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয় ঈশ্বরের কাছ থেকে বলে লখনৌ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। এবার কয়েক কোটি মানুষ এখানে ভিড় করবেন বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই পুণ্যস্নান করতে দেশ–বিদেশ থেকে পুণ্যার্থীরা এসে থাকেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বুথ সভাপতির অ্যাকাউন্টে আবাসের টাকা! সরব দলেরই নেতা চন্দ্রকোনায়
অন্যদিকে শনিবার ৩৩ লাখ পুণ্যার্থী মেলায় এসে পুণ্যস্নান করেন। এই দু’দিন মিলিয়ে ৮৫ লাখ পুণ্যার্থী এখানে এসে পুণ্যস্নান করেন বলে জানিয়েছেন তথ্য অধিকর্তা শিশির। এই বছর আশা করা হচ্ছে কুম্ভমেলায় ৪৫ কোটির বেশি মানুষ আসবেন এবং পুণ্যস্নানে অংশ নেবেন। ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জমায়েত হবে এবার বলে জানাচ্ছেন শিশির এই মহাকুম্ভ নিয়ে। এখানে ১৩ আখরার প্রতিনিধিরা এসেছেন সনাতন ধর্ম পালন করতে। তাঁদের নির্দিষ্ট ক্যাম্প রয়েছে। এখানে ৪০ দিন ধরে চলবে উৎসব। যা একটা বড় আকার নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া রবিবার শ্রী পঞ্চায়েতি আখরা বড় উদাসীন ক্যাম্পের স্থলে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার পর সেখানে প্রবেশ করে শোভাযাত্রা করেছে। প্রথম এই অমৃত স্নানকে বলা হয় অত্যন্ত পবিত্র। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে এই পুণ্যস্নান করবেন কোটি কোটি পুণ্যার্থীরা। আখরার সাধু–সন্তরাও সেদিন পুণ্যস্নান করবেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। ভিড় সামলানো থেকে শুরু করে স্যানিটেশন এবং পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।