মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের ফল প্রকাশের পর দুই পক্ষই কার্যত মেনে নিয়েছে, ভোটবাক্সে খেলা ঘুরিয়েছেন মহিলারা। এবং সেটা সম্ভব হয়েছে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সরকারি প্রকল্পে। এই আবহে মহারাষ্ট্রে মহায্যুতি জোটের জয়ের 'ক্রেডিট' চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। কারণ, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যর মহিলাদের জন্যে প্রকল্প চালু করে ভাতা দিতে শুরু করেছিল সরকার। তবে বিজেপির আবার দাবি, মহিলাদের হাতে টাকা দেওয়ার এই প্রকল্প আসলে তাঁদের দলের মস্তিষ্কপ্রসূত। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহান এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। এবং তাতে বিজেপি বিধানসভা ভোটে বড় জয় পেয়েছিল। তবে দেশে সবার আগে এই 'ফর্মুলা' দেখিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর টিকিট নিয়ে চালু নয়া 'নিয়ম', সমস্যায় বহু যাত্রী)
আরও পড়ুন: মিটবে বকেয়া ডিএ-র 'জ্বালা', শীঘ্রই ১৮৬% 'লাভ' হবে সরকারি কর্মীদের?
আরও পড়ুন: বাড়তে চলেছে লেন, মেট্রোপলিটানে আরও চওড়া হবে ইএম বাইপাস সড়ক
এদিকে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, এই 'ফর্মুলা' ব্যবহার করেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে থমকে দিয়ে ঝাড়খণ্ডে বিশাল জয় পেয়ছেন হেমন্ত সোরেন। ২০১৯ সালের থেকেও বেশি আসনে জিতে ২০২৪ সালে ঝাড়খণ্ডের গদিতে বসছে জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডির জোট। এর মাঝে অবশ্য দীর্ঘ কয়েক মাস জেলে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। তৃণমূলের মতোই তাঁর দলও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত। এরই মাঝে গতবারের তুলনায় এবার ঝাড়খণ্ডে ভোটের হার বেড়েছিল প্রায় ৪ শতাংশ। সাধারণত, ভোটের শতাংশ বাড়লে তা সরকারের বিরুদ্ধে রায় বলেই বিবেচনা করা হয়। অবশ্য ভোট সমীকরণ বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ৬৮টি আসনে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। (আরও পড়ুন: সুকান্তকে 'পার্টটাইম সভাপতি' আখ্যা, তথাগত বললেন, '…মমতা চিরকাল শাসন করবেন')
আরও পড়ুন: সাগরে শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের
আরও পড়ুন: 'কালো অক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর নাম',প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়কে আক্রমণ উদ্ধব শিবিরের
আরও পড়ুন: EVM নিয়ে 'ডিগবাজি' ইলন মাস্কের! মহারষ্ট্রের ফল ঘোষণার পর কি বললেন ধনকুবের?
এই আবহে দেখা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে রাজ্যের মহিলাদের জন্য হেমন্ত যে ‘মাইয়া সম্মান যোজনা’ শুরু করেছিলেন, তা কাজে দিয়েছে তাঁর গদি বাঁচাতে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে জমা পড়ত আগে। তবে ভোটের আগেই হেমন্ত সোরেন সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করে দেন। আর সেই পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে যেন 'ম্যাজিক' দেখা গিয়েছে ভোটবাক্সে। এই একই ভাবে ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও রাজ্যে ভালো ফল করে তাঁর দল। তবে মহিলাদের স্বাবলম্বী করার এই ফর্মুলাকে নিজেদের বলে দাবি করছে বিজেপি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারও মহিলাদের জন্যে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। লাখপতি দিদি থেকে গ্যাস ভর্তুকি সংক্রান্ত নানান প্রকল্প আছে কেন্দ্রের। তবে এভাবে সরাসরি মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার প্রকল্প মধ্যপ্রদেশ থেকে চালু করেছিল তারা। আর তারও আগে বাংলায় সেই প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।