কোথাও অভিযোগ উঠল সরকারি বাস ভাঙচুরের। কোথাও আবার অটোচালকদের মারধরের অভিযোগ তোলা হল শাসক জোটের বিরুদ্ধে। সোমবার বনধ ঘিরে এমনই ‘গুন্ডামি’-র সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। যে বনধকে অবশ্য ‘১০০ শতাংশ সফল’ বলে দাবি করেছে শিবসেনা।
লখিমপুর খিরিতে কৃষকদের পিষে ‘হত্যার’ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মহারাষ্ট্র বনধের ডাক দিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস। সেই বনধ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের (বেস্ট) তরফে অভিযোগ করা হয়, মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সেজন্য পুলিশি নিরাপত্তারও আবেদন করা হয়েছে। বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, মুম্বই এবং শহরতলিতে মাত্র চারটি বাস চলছে। তাছাড়া বন্ধ আছে বাস চলাচল। তার জেরে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাসের পাশাপাশি মুম্বই, থানের মতো জায়গায় রাস্তায় অটোও তেমন চোখে পড়েনি। যাত্রীদের অভিযোগ, হাতেগোনা যে অটো রাস্তায় নেমেছে, সুযোগ বুঝে আকাশছোঁয়া দর হাঁকছে।
তারইমধ্যে থানেতে অটোচালকদের লাঠি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। যে অটোচালকরা বনধ সত্ত্বেও রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাঁদের লাঠি দিয়ে মারধরের একটি ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তাছাড়াও ভিখরোলিতে ইস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ করেছেন শিবসেনা কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার চালিয়ে দেখানো হয়েছে বিক্ষোভ। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দোকান বন্ধ আছে। শুনশান রেল স্টেশনও। একাংশের দাবি, শিবসেনার ‘গুন্ডামির’ ভয়েই দোকান বন্ধ আছে। রাস্তায় কম মানুষ বেরিয়েছেন।
সেই গুন্ডামির অভিযোগের অভিযোগের মধ্যে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, ‘রাজ্যে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে বনধ। লখিমপুর খিরিতে কৃষকদের পিষে হত্যার ঘটনায় মানুষ তাঁদের ক্ষোভ দেখালেন। যদি কেউ মহারাষ্ট্র বনধের বিরোধিতা করেন, তাহলে তাঁদের নিজেদের উদ্দেশে প্রশ্ন করা উচিত, তাঁরা আদৌও এই দেশের নাগরিক কিনা।’