সদ্য সমাপ্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। হরিয়ানার মতোই একইভাবে মহারাষ্ট্র নির্বাচনেও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধীরা। এরইমধ্যে একজন দাবি করেছেন যে তিনি ইভিএম হ্যাক করতে পারেন। সেই আবহে এবার ইভিএম নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এস চোকালিঙ্গম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইভিএমে কারচুপি নিয়ে কেউ মিথ্যা দাবি করলে বা প্ররোচনা দিলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গ্রামের বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ একনাথ শিন্ডে, অ্যাম্বুল্যান্সও রেডি! কী হল তাঁর?
চোকালিঙ্গম জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলি নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। উল্লেখ্য, সমাজ মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক করার দাবি করেছেন সৈয়দ সুজা নামে বিদেশে থাকা এক ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লি এবং মুম্বই পুলিশ সক্রিয়ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে।এই ঘটনার সঙ্গে বা অভিযুক্তের সঙ্গে দেশের কারও যোগ রয়েছে কি না, তা শনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পুলিশ। গ্রেফতার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। নির্বাচনী আধিকারিক জানান, এই ধরনের ক্রিয়াকলাপ একটি গুরুতর অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রধান জয়ন্ত পাটিল সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিকাল ৫টার পরে ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যালট পেপার ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘ব্যালট পেপার অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। জনগণ ইভিএমে ভরসা না রাখলে ভোটের হার কমে যাবে।’ এর পাশাপাশি কংগ্রেসও একইভাবে ব্যালটে ভোট করার দাবি জানায়। তবে এই তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ইভিএমে বিরোধীদের ভরসা না থাকলে তাদের সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ইস্তফা দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট এমভিএ বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে। ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ১৬ টি আসনে জয়ী হয়েছে। এর জোট জোট শিবসেনা (ইউবিটি) ২০টি আসন এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ারের দল) মাত্র ১০টি আসন পেয়েছে। সেখানে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহায্যুতি জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৩টি আসনে জিতেছে। আর বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জয়ী হয়েছে। জোটের শরিক দল শিবসেনা (একনাথ শিন্ডের দল) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার দল) যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১টি আসন জিতেছে।