বিদ্যুৎ সরবরাহেও ভিনদেশীদের আক্রমণ? আপাতত জোরালো হচ্ছে সেই তত্ত্বই। মুম্বই পুলিশের তদন্তের পর এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে সোমবার মহারাষ্ট্র সরকার প্রাথমিক রিপোর্ট।
গত অক্টোবরে মুম্বইয়ের বিদ্যুত্ সরবরাহে গোলযোগের ঘটনা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। তবে তদন্ত যতটা এগিয়েছে, তাতে দুটি দিক বেশ স্পষ্ট। প্রথমত, সাইবার অ্যাটাকই বিদ্যুত্ বিভ্রাটের মূল কারণ। আর দ্বিতীয়ত, সাইবার হানার পেছনে রয়েছে এক বা একাধিক দেশের গভীর ষড়যন্ত্র। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সোমবার নিজেই একথা স্পষ্ট করেছেন।
মোটামুটি যাঁরা কম্পিউটার ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্রোজান হর্স নামের ভাইরাসের নাম শুনেছেন। সেই ভাইরাসের আক্রমণেই এমন কান্ড বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। এই ট্রোজান হর্সই প্রবেশ করেছিল ট্রয়, থুড়ি মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড-এর সার্ভারের অন্দরে। প্রায় ১৪টি ট্রোজান হর্সের মাধ্যমে প্রায় ৮ জিবি ডেটা পাচার হয়েছে বিভিন্ন দেশের অজানা সার্ভারে।
শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড-এর সার্ভারে লগ ইন করা হয়েছিল কোনও ব্ল্যাকলিস্টেড আইপি অ্যাড্রেস থেকে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। সুপারভাইজারি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশান নেটওয়ার্কের বিশ্লেষণ এমনই তথ্য দিয়েছে সাইবার পুলিশকে।
"এটা একটা প্রাথমিক স্তরের রিপোর্ট। ঠিক কটা দেশ এর সঙ্গে জড়িয়ে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে পুরো ব্যাপারটাই ধীরে ধীরে খোলসা হবে," আশ্বাস দিলেন দেশমুখ।
এছাড়াও তিনি জানান, রেকর্ডেড ফিউচার নামে এক মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এতে চিন-যোগ স্পষ্ট। মুম্বইয়ে বিদ্যুত্ বিভ্রাটের পেছনে চিনা ভাইরাসের হাত থাকার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও।
গত বছর ১২ অক্টোবর মু্ম্বই ও সংলগ্ন শহরতলিতে হঠাত্ই বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বিপর্যস্ত হয়ে যায় জনজীবন। থমকে যায় ট্রেন থেকে হাসপাতাল। প্রায় ২ ঘণ্টা মরিয়া চেষ্টার পর জরুরি ক্ষেত্রে বিদ্যুত্ সংযোগ ফেরায় মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।