শিয়রে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপির প্রচারে এদিন ধুলেতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সভা থেকে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হন। মোদীর ভাষণে উঠে আসে দলিত প্রসঙ্গও। পাকিস্তান প্রসঙ্গ তুলেও তিনি তোপ দাগেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হন মোদী। তুলে ধরেন নেহরু প্রসঙ্গও। মোদী বলেন, ‘তিনজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী, দেশে দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিলেন। ড. বাবা সাহেব আম্বেদকর, নেহরুর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। ইন্দিরা, এই বিষয়ে মেনেছিলেন নেহরুর নীতি, আর সংরক্ষণের বিরোধিতা করেন রাজীব।’ গান্ধী পরিবারের সূত্র ধরেই মোদীর পরের খোঁচা,' বর্তমানে কংগ্রেসের যুবরাজ (নাম না করে রাহুল গান্ধীকে খোঁচা) একই খেলা খেলছেন। যা খুবই ভয়ঙ্কর আর দেশকে দুর্বল করে দেবে।' মোদী বলেন, ‘দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের বিভাজন করার ভয়ঙ্কর রাজনীতি করছে কংগ্রেস। যদি এই জাতিরা একাত্ম হয়ে যায়, তাহলে কংগ্রেসের পক্ষে তা কঠিন হবে। রাজনীতিতে থাকতে কংগ্রেস, শত্রুতা সংঘাত তৈরি করছে জাতিগুলির মধ্যে।’ মোদীর সাফ বার্তা ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’।
( US Abortion Rights: রিপাবলিকানদের বহু পোক্ত ঘাঁটি সহ আমেরিকার ৭ প্রদেশে গর্ভপাতের সপক্ষে ভোট জনতার)
( Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেবীকে বস্ত্র অর্পণ করতে চান? কোন রঙ শুভ? রইল টোটকা)
এদিে, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় সদ্য হয়ে যাওয়া তুলকালাম পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন মোদী। সদ্য ৩৭০ ধারা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ব্যাপক শোরগোল হয়। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে সরকারে রয়েছে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট। সেই প্রসঙ্গ তুলে, মোদী বলেন,'কংগ্রেস এবং তার সঙ্গীরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ পুনরায় কার্যকর করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এরা আবার চায় বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরানো হোক।' মোদী সুর চড়া করে দাবি করেন, কংগ্রেস পাকিস্তানের নীতি নিয়ে ভারতকে দুর্বল করতে চাইছে। ৩৭০ ধারা নিয়ে মোদীর সাফ বার্তা, ‘কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা যারা জম্মু ও কাশ্মীরে ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে।’