কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে কাজ করছেন। তাই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে যে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করতে পারবে না মহারাষ্ট্র সরকার। এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালশে পাতিল।
সম্প্রতি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। যদিও শুক্রবার মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে কাজ করায় সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকার তদন্ত করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর (নবাব মালিক) মন্তব্যের বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। এই বিষয়ে আমায় কোনও প্রমাণ দেননি উনি। আপাতত আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। '
মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ানের গ্রেফতারির মধ্যে নবাব বলেছিলেন, 'সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর এক বিশেষ কর্তাকে (সমীর ওয়াংখেড়ে) এনসিবিতে আনা হয়েছিল। সিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে। তাঁর (সুশান্তের) আত্মহত্যা বা হত্যার রহস্য অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এনসিবি এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পিছনে পড়েছে। এনসিবির সামনে কয়েক ডজন অভিনেতাকে প্যারেড করানো হয়েছিল। তাতে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে।' সঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, 'মহামারীর সময় পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মালদ্বীপে ছিল। সমীর ওয়াংখেড়েকে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেই সময় সেখানে কী করছিলেন। তিনি দুবাইতে ছিলেন কিনা, তাও স্পষ্ট করা উচিত। আমরা নিশ্চিত যে এই সমস্ত তোলাবাজি মালদ্বীপ এবং দুবাইতে হয়েছিল এবং আমি সেই ছবিগুলি প্রকাশ করব।'
যদিও সেই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল মুথা অশোক জৈন। তিনি জানান, দুবাই যাওয়ার জন্য কোনও আবেদন করেননি ওয়াংখেড়ে। গত বছরের ৩১ অগস্ট লোনে এনসিবিতে যোগ দেন। তারপর থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য আবেদন জমা দেননি। পরিবারের সঙ্গে মালদ্বীপে ছুটি কাটানোর আবেদন করেছিলেন ওয়াংখেড়ে।