হুমকি দিয়ে গত তিনদিনে তিনটি ফোন এসেছিল। বুধবার সকালেও দু'টি হুমকি ফোন পেলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তার মধ্যে একটি ফোন কঙ্গনা রানাওয়াতের অনুরাগীরা করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে। যে বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক যোগের অভিযোগ ওঠায় তদন্তের ঘোষণা করেছেন দেশমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিকদের দাবি, বুধবার সকাল ছ'টা নাগাদ দেশমুখের কাছে দুটি হুমকি ফোন আসে। একটি ফোন করা হয়েছিল হিমাচল প্রদেশ থেকে। সেই আবার রাজ্যেরই মেয়ে কঙ্গনা। নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, ‘যে ফোন করেছিল, সে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মন্ত্রীর বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। পুলিশকে ওই ফোনগুলির বিষয়ে জানানো হয়েছে।’
হুমকি ফোন পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন দেশমুখও। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি (হুমকি) ফোন পেয়েছি এবং মুম্বই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ সেটির তদন্ত করছে।’
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অতীতে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মাদক যোগের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। বছর তিনেক আগে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার ‘বয়ফ্রেন্ড’ অধ্যয়ন সুমন দাবি করেছিলেন, বলিউড অভিনেত্রী মাদক সেবন করেছিলেন এবং তাঁকেও জোর করে মাদক দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নজরে নিয়ে আসেন শিবসেনা বিধায়ক সুনীল প্রভু ও প্রতার সারনায়েক।
তার আগে গত সপ্তাহে কঙ্গনার মন্তব্য নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, মুম্বই বা মহারাষ্ট্রে কঙ্গনার থাকার কোনও অধিকার নেই। কারণ অভিনেত্রী মুম্বইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।