মহারাষ্ট্রের জলগাঁওতে ট্রেনের ধাক্কায় বহু যাত্রীর মৃত্যু। একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। আশঙ্কাজনকভাবে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্তত ১১জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার ঘটনা। বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের ধাক্কা লাগে বলে খবর। পারান্দা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা।
জলগাঁও জেলার পুলিশ সুপার ডঃ মহেশ্বর রেড্ডি জানিয়েছেন, ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন আহত। আহতদের পাঁচোরা তালুকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুষ্পক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মধ্য়ে গুজব রটে গিয়েছিল যে ট্রেনে আগুন লেগেছে। এরপরই একের পর এক যাত্রী ঝাঁপ মারতে শুরু করেন। আর উলটো দিক থেকে পাশের লাইনে আসছিল অপর একটা ট্রেন বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন লাফ দিয়ে পড়া যাত্রীরা। একেবারে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক যাত্রীর শরীর। বেশ কয়েকজনের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখপাত্র স্বপ্নীল নীলা জানিয়েছেন, পুষ্পক এক্সপ্রেসের কিছু যাত্রী নেমে পড়েছিলেন। কর্ণাটক এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় তাঁদের।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আহতদের যাতে যথাযথ চিকিৎসা হয় তার নির্দেশ তিনি দিয়েছেন।
এক রেল আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, সম্ভবত হট অ্য়াক্সেল অথবা ব্রেক বাইন্ডিংয়ের কারণে এই ফুলকি বেরিয়েছিল। এতে কিছু যাত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেন টানেন। কিছু যাত্রী লাফ দেন। আর সেই সময়ই উলটো দিক থেকে কর্ণাটক এক্সপ্রেস আসছিল।
মন্ত্রী গিরিশ মহাজন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জেলাশাসকও রেলের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করছেন।