সীমান্ত সংঘাতে উত্তাল রয়েছে কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র। দুই রাজ্যের অন্তর্বর্তী হিরে বাগেওয়াড়ি এলাকায় কন্নড়পন্থী সংগঠনের প্রতিবাদে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যায়। কর্ণাটকের বেলাগাভি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের এই এলাকায় মহারাষ্ট্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে চলাফেরা করা যেকোনও গাড়িকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত পাথর বৃষ্টি করতে থাকে 'কর্ণাটক রক্ষণা বেদিক সংগঠনে'র সদস্যরা।
ঘটনার পরই ৪০০ প্রতিবাদীকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বেলাগাভি পুলিশ স্টেশনে। সেখানে তাদের কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গোটা ঘটনার সূত্রপাত কর্ণাটক রক্ষণা বেদিক সংগঠনের সদস্যদের ঘিরে। বিতর্কিত এলাকায় তারা জোর পূর্বক ঢুকে প্রতিবাদ দেখানোর চেষ্টা করতেই শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গ সংঘাত। জানা যায়, ওই বিতর্কিত জায়গায় দুই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর সভা হওয়ার কথা ছিল। তাঁরা 'মহারাষ্ট্র একীকরণ সমিতি'র সদস্যদের সঙ্গে সেখানে সভা করবেন বলে স্থির ছিল। এরপর সেই সভা ভেস্তে যায়। তবে এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় তোলে কর্ণাটক রক্ষণা বেদিক সমিতি। জানা গিয়েছে, সেখানে মহারাষ্ট্রের নম্বর সমেত ট্রাককে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে প্রতিবাদীরা।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ১৭ দিনে ১৬ টি বিল পেশ হচ্ছে! গুরুত্বপূর্ণ ৫ বিল একনজরে
উল্লেখ্য, বিতর্কিত এলাকায় ওই প্রতিবাদীদের প্রবেশ করতে না দেওয়ায়, তারা পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়। পুনে বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে থাকে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ৬ টি গাড়ি সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়। এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে, পুনেতে শিবসেনার উদ্ধব ক্যাম্পের তরফে সদস্যরা কর্ণাটকের রেজিস্ট্রেশন সমেত গাড়ির ওপর হামলা চালায়। ৮ টি বাস তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।এই পরিস্থিতিতে এলাকায় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীদের সভা আরও হিংসা উস্কানি দিতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে পুলিশের হাতে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রক্রিয়ায় প্রশাসন।