অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মহারাষ্ট্রের ফড়নবিস সরকারের মন্ত্রী নীতীশ রানে। তিনি সইফ আলি খানের দ্রুত আরোগ্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌও কি তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল না কি শুধু অভিনয় ছিল? একইসঙ্গে সঙ্গে হিন্দু অভিনেতাদের কিছু হলে কাউকে সরব হতে দেখা যায় না বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী। তাঁর এমন মন্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কীভাবে সইফের হামলাকারীকে খুঁজে পেল পুলিশ? সামনে এল রোমহর্ষক তদন্তের ‘কাহিনি’!
মহারাষ্ট্রে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতিশ রানে আরও অনেককে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, যখনই শাহরুখ খান বা সইফ আলি খানের মতো কোনও খান আহত হন, সবাই এটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। কিন্তু, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো একজন হিন্দু অভিনেতাকে হেনস্তা হতে হলেও কেউ কিছু বলতে এগিয়ে আসে না। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশিদের আক্রমণ করে মন্ত্রী বলেছেন, ‘দেখুন মুম্বইয়ে বাংলাদেশিরা কী করছে। তারা সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছে। আগে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এখন তারা ঘরে ঢুকছে।’ এরপর সইফের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সইফ যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন, তখন আমার সন্দেহ হয় যে তাঁকে ছুরিবিদ্ধ করা হয়েছিল কি না। সইফ আলি খান কি সত্যিই ছুরিবিদ্ধ হয়েছিলেন নাকি এটা শুধু অভিনয় ছিল?’ তিনি দাবি করেন, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় সইফকে নাচতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সইফ প্রসঙ্গে সরব হওয়ার জন্য নীতীশ রানে- জিতেন্দ্র আওহাদ এবং সুপ্রিয়া সুলেকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা সইফ আলি খান, শাহরুখ খানের ছেলে এবং নবাব মালিককে চিন্তিত। আপনি কি কখনও তাঁদের কোনও হিন্দু শিল্পী নিয়ে চিন্তিত হতে দেখেছেন?
এবিষয়ে মন্ত্রী জনসাধারণকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।’ প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর হাতে চুরিবিদ্ধ হয়েছিলেন সইফ আলি খান। চুরির উদ্দেশ্যে এক দুষ্কৃতী অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর অভিনেতার চোখে পড়তেই দুজনের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পরে দুষ্কৃতী একের পর এক ছুরি দিয়ে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালায়। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার চলে ৬ ঘণ্টা ধরে।বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর সইফকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে রয়েছেন।