মহারাষ্ট্রের পথ কুকুরদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক তথা প্রহর জনশক্তি পার্টির প্রধান বাচ্চু কাডু। তিনি বলেছেন, ‘অসমের লোকেরা কুকুর খায়, তাই মহারাষ্ট্রের পথ কুকুরদের ধরে অসমে পাঠানো উচিত।’ বিধানসভায় আলোচনা চলার সময় বিধায়কের এই মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল, পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল।
পথ কুকুরদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিধায়ক অতুল ভাটখালকর এবং প্রতাপ সারনায়েক-সহ অন্যরা। এই সমস্যা মোকাবিলায় কী করা যায়? তা নিয়ে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তাবটি রাখেন। তখন বাচ্চু বলেন, ‘পথ কুকুরের দ্বারা তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানের জন্য একটি সহজ উপায় রয়েছে। গৃহপালিত কুকুর রাস্তায় এলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এরপরেই বাচ্চু বলেন, ‘অসমে পথ কুকুরের চাহিদা রয়েছে। সেখানে তাদের ভালো দাম পাওয়া যাবে। ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম রয়েছে কুকুরের। এর মাধ্যমে রাজ্যে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কুকুরগুলিকে অসমে পাঠাতে হবে। বিধায়কের পরামর্শ, ‘এ বিষয়ে কমিটি গঠন না করে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে যে কোনও একটি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা নিতে হবে।’ বিধায়কের এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রাণী অধিকার কর্মী এবং পশুপ্রেমীরা এই বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের এই মন্তব্য অমানবিক এবং অবমাননাকর।
এর আগে ঝাড়খণ্ডের এক বিধায়কও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের বোকারোর বিজেপি বিধায়ক বিরাঞ্চি নারায়ণ বলেছিলেন, ‘পথ কুকুররা মানুষকে আক্রমণ করছে এবং সরকার যদি এটি সমাধান করতে না পারে তবে নাগাল্যান্ডের মানুষকে ডাকুন। এই সমস্যার সমাধান হবে।’ পথ কুকুরের দ্বারা মানুষকে আক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, ‘রাঁচিতে প্রতিদিন ৩০০ মানুষ কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে। অনেকে বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই বাড়িতে কুকুর রাখছেন। বোকারোতে পথ কুকুর নিয়ন্ত্রণ এবং রাস্তা জীবাণুমুক্ত করার কোনও ব্যবস্থা নেই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup