পরনে পাজামা পাঞ্জাবি। এক মুখ উসকো-খুসকো দাড়ি। খুব চিন্তিত অবস্থায় থানায় এসেছেন অভিযোগ দায়ের করতে। তবে, পুলিশকর্মীরা কেউই বুঝতে পারেননি তাঁর আসল পরিচয়।
না, হেঁয়ালি করছি না। এমনই ছদ্মবেশ নিয়ে তিনটি থানায় সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন পুণের পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ প্রকাশ। উর্দি পরে গেলে তো সবাই চিনে যাবে। তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁরা কেমন ব্যবহার করেন জানবেন কী করে? তার জন্যই এমন ছদ্মবেশ ধারণ করেন তিনি।
সূত্রের খবর, যে তিনটি থানায় তিনি গিয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ফুল মার্কস পেয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ গ্রহণ করেছেন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একটি থানায় বেশ সমস্যায় পরতে হয় ছদ্মবেশী আইপিএস-কে। আপাতত জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে সেই থানার কাছে।
জানা গিয়েছে প্রথম দুটি থানায় অভিযোগ জানানোর পরেই পুলিশকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন। ঘটনাস্থলে টিমও পাঠানো হয়। কিন্তু তৃতীয় স্থানেই সমস্যা হয়। তৃতীয় থানায় গিয়ে ছদ্মবেশী অফিসার জানান যে একটি অ্যাম্বুলেন্স ৪ কিলোমিটার নিয়ে যেতে কোভিড পেশেন্টের কাছে ৮,০০০ টাকা চাইছেন। তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি সেই থানা। উল্টে তাঁকে স্থানীয় পুলিশ চৌকিতে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। এরপরই নিজের আসল পরিচয় দেন পুলিশ কমিশনার। ছদ্মবেশ খুলতেই হাড় হিম হয়ে যায় থানার সকলের। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে শো-কজ নোটিশ দেন কমিশনার।
কথিত আছে, সম্রাট আকবর ছদ্মবেশে বীরবলের সঙ্গে শহরের প্রশাসনের তদারকি করতেন। বর্তমান যুগের প্রয়োজনেও যদি কমিশনারকে ছদ্মবেশ নিতে হয়, তবে ক্ষতি কী!