মহারাষ্ট্রের ধারাশিব জেলায় ৩ নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নামতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলে পুলিশ। আসলে নাবালিকাদের অপহরণ করা হয়নি, বিশ্ব বিখ্যাত ‘কে পপ’ ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যেই তারা নিজেরাই অপহরণের গল্প সাজিয়েছিল। আর এই ব্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে সেই পরিকল্পনা সফল হওয়ার আগেই পুলিশ তাদের উদ্ধার করে এবং পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: মুস্তাক খান ও সুনীল পাল অপহরণে ‘মাস্টারমাইন্ড’কে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, যে তিনজন নাবালিকা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৩ বছর এবং একজনের বয়স ১১ বছর। গত ২৭ ডিসেম্বর ধারাশিব পুলিশের হেল্পলাইনে একটি কল আসে। তাতে দাবি করা হয় যে জেলার ওমেরগা তালুকা থেকে একটি স্কুল ভ্যানে তিনটি মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই খবর শোনা মাত্রই পুলিশ অ্যাকশনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে তদন্তে নামতেই পুলিশ জানতে পারে যে নম্বরটি একজন মহিলার এবং তিনি ওমেরগা থেকে পুনেগামী একটি রাজ্য পরিবহণের বাসে ভ্রমণ করছেন। মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার মহোল এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বাসটিকে ট্র্যাক করে। পরে মহোল বাসস্ট্যান্ডে বাসটিকে থামিয়ে নাবালিকাদের উদ্ধার করে পুলিশ এবং পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে কে পপ তারকা বিটিএসকে ফলো করে এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। শুধু তাই নয়, ভ্রমণের অর্থের জন্য তারা প্রথমে পুনে গিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর তারপরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। নাবালিকাদের ৩০ মিনিটের মধ্যে ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ সুপার সঞ্জয় যাদব জানান, নাবালিকাদের তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নাবালিকারা মধ্যবিত্ত পরিবারের অন্তর্গত। তাদের বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করার আগে পুলিশের তরফে বাচ্চাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহারের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নাবালিকাদের মোবাইল ব্যবহার সীমাবদ্ধ করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের করেনি পুলিশ।