যত সময় যাচ্ছে দলের রাশ ছুটছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের হাত থেকে। একনাথ শিন্ডে দল পরিচালনা করছেন অসমে বসেই। আর এর জেরে সংকটে পড়েছে মহাবিকাশ অঘাড়ি সরকার। ঠিক কীভাবে এদিন জল গড়ালো, দেখে নিন আমাদের লাইভ ব্লগে।
ম্যাজিক সংখ্যা কি পেরিয়ে গিয়েছেন একনাথ শিন্ডে
৩৭ জন শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন হলেই তাদের সদস্যপদ আর বাতিল করা যাবে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায়। এই মুহূর্তে শিন্ডের পাশে ৩৭-এর বেশি বিধায়ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সমঝোতা আর সম্ভব হবে না এটা মনে করেই সম্ভবত এবার আইনি পথে যাচ্ছে শিবসেনা। শিন্ডে সহ ১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত।
কিছুই জানেন না হিমন্ত!
হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিল্লিতে বলেছেন যে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই গুয়াহাটিতে শিবসেনা বিধায়কদের থাকার বিষয়ে। তিনি বলেন যে রাজধানীতে অনেক হোটেল আছে বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করা এসে থাকতেই পারেন।
একনাথ শিন্ডের ভরসা বিজেপিতে
একনাথের সঙ্গে বিজেপির ঠিক কি হিসেব হয়েছে, সেই নিয়ে জল্পনার অভাব নেই। এদিন ৪২ বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে শিন্ডে বলেন যে বিজেপি জাতীয় দল। তারা জানিয়েছে যে যখন তাদের প্রয়োজন, তারা সাহায্য করতে প্রস্তুত, বলে জানান একনাথ শিন্ডে।
শরদ পাওয়ারের বিশ্বাস
মহারাষ্ট্র রাজনীতির চাণক্য শরদ পাওয়ারের বিশ্বাস যে মেঘ কেটে যাবে অঘাড়ি সরকারের ওপর থেকে। তিনি বলেন যে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বেশ কিছুবার এমন পরিস্থিতি দেখেছেন। সেটা থেকে তাঁর বিশ্বাস যে উদ্ধব জয়ী হবেন। তিনি বলেন যে সরকারের সংখ্যা আছে কিনা, সেটা ঠিক হবে বিধানসভায়। তাঁর বিশ্বাস যে বিধানসভায় যখন আস্থা ভোট হবে, তখন উদ্ধব জয়যুক্ত হবেন। একবার শিবসেনার বিধায়করা ফিরলেই খেলা ঘুরবে বলে তাঁর বিশ্বাস
বাইরে থেকে সমর্থন দিতে রাজি কংগ্রেস
মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন যে অঘাড়ি সরকারকে বাঁচাতে প্রয়োজনে তারা বাইরে থেকে সমর্থন দিতেও রাজি। সেটা যে ঠিক করে সম্ভব, বিদ্রোহীদের ঠিক কি হবে, সেই নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
উদ্ধবে আস্থা এনসিপি-র
উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেছেন যে তাঁরা এখনও আস্থা রাখছেন উদ্ধব ঠাকরের ওপর। শিবসেনা যে জোট ভাঙার কথা বলছে, সেই নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। তাঁর মতে, এটা সম্ভবত বিদ্রোহীদের ঘরে ফেরানোর জন্য রণনীতি।
বিকল্প কমছে শিবসেনার
উদ্ধবের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩জন শিবসেনার বিধায়ক। পুরো দলই কার্যত এখন গুয়াহাটিতে। বিক্ষুব্ধদের কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে তারা অঘাড়ির সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। বিজেপির সঙ্গে যেতে চায় তাঁরা। ভাবগতিক দেখে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে শিবসেনা ও তাদের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। প্রয়োজনে জোট ভাঙা যেতে পারে, কিন্তু বিধায়করা যেন ফেরে, সেই আর্জি জানিয়েছেন সঞ্জয়। টুইটারে আবার সেই অনুরোধের পুনরাবৃৃত্তি তাঁর। বল এখন বিদ্রোহীদের কোর্টে।
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি : মমতা
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,অনৈতিকভাবে সরকার ভাঙার চেষ্টা। টাকা দিয়ে বিধায়কদের কিনতে চাইছে । উদ্ভব ঠাকরের হয়ে সুবিচার চাই, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি।
গুয়াহাটির হোটেল ছাড়লেন দুই বিদ্রোহী বিধায়ক
বিদ্রোহী বিধায়করা গুয়াহাটির হোটেলে বৈঠক করলেন বিকেলে। বৈঠক শেষেই শিবসেনার এক বিধায়ক এবং নির্দল এক বিধায়ক হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। যা নিয়ে চরমে উঠেছে জল্পনা।
পৃথক বৈঠকে কংগ্রেস, এনসিপি
সঞ্জয় রাউত এদিন বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার সময় বলেন, ‘শিবসেনা মহাবিকাশ অঘাড়ি ছা়ডার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতে রাজি।’ সঞ্জয়ের এই মন্তব্যে নাকি বেজায় চটেছে কংগ্রেস। তারা সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছে। এদিকে এনসিপিও সন্ধ্যায় নিজেদের বৈঠক ডেকেছে।
'শিন্ডে গোষ্ঠী ছাড়তে চান অনেকে'
শিবসেনার তরফে কৈলাস পাতিল এবং নিতিন দেশমুখকে সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করা হল। সাংবাদিক সম্মেলনে নিতিন ও কৈলাস দাবি করেন অনেক বিধায়ক ইন্ডে গোষ্ঠী থেকে ফিরতে চান। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়কদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে।
‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে ফেললেন শিন্ডে
বৃহস্পতিবার মোট তিনজন শিবসেনা বিধায়ক এসে যোগ দিলেন একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীতে। দীপক কেসারকর, সদা সর্বঙ্কর, মঙ্গেশ কুডালকার এবং সঞ্জয় রাঠোড় এদিন গুয়াহাটি এসে পৌঁছান। সূত্রের খবর, বর্তমানে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে ৩৮ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে মাত্র ১৬ জন বিধায়ক আছেন। একজন বিধায়ক এখনও মনস্থির করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ৫৫ বিধায়কের দলে একনাথদের দলবিরোধী আইন এড়াতে ৩৭ জন বিধায়ক প্রয়োজন ছিল। সেই সংখ্যা থেকে একজন বিধায়ক বেশি রয়েছে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে।
‘বিজেপির সঙ্গে জোট চাই’
আজকে সকালেই গুয়াহাটিতে শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে এসে যোগ দেন দীপক কেসরকর নামক এক বিদ্রোহী বিধায়ক। গুয়াহাটিতে এসে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘আমরা চাই না উদ্ধব ঠাকরে সরে যান। আমরা চাই তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করুন।’
গুয়াহাটিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ
গুয়াহাটির ব়্যাডিসন ব্লু হোটেলের সামনে এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা নিয়ে সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বোরা। বিস্তারিত পড়ুন এখানে
শিবসেনা কার?
একনাথ শিন্ডে সহ মোট ৩৫ জন শিবসেনা বিধায়ক বর্তমানে রয়েছেন গুয়াহাটির হোটেলে। তারা নিজেদের ‘আসল’ শিবসেনা বলে দাবি করছেন। এই মর্মে গতকাল মহারাষ্ট্র বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষকে একটি চিঠিও দেন শিন্ডে গোষ্ঠীর বিধায়করা। সেই দাবি নিয়ে বিচার করছেন উপ-অধ্যক্ষ। তিনি জানান, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
গুয়াহাটির হোটেলে মহারাষ্ট্রের ৪২ বিধায়ক
সংবাদ সংস্থা এনএনআই সূত্রে খবর, গুয়াহাটির হোটেলে শিবসেনার ৩৪ এবং নির্দল ৮ জন বিধায়ক আছে এই মুহূর্তে। যদিও সকালে আরও তিনজন বিধায়ক পৌঁছানোর দাবি করা হয়েছিল শিন্ডে গোষ্ঠীর তরফে।
‘বিদ্রোহী’ জোটে ভাঙন ধরানোর ছক সঞ্জয় রাউতের
শিবসেনায় ভাঙনের জল্পনার মাঝেই এবার সঞ্জয় রাউত দাবি করলেন যে ২০ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
শিন্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ
রাজ্যপালের কাছে নিজের সংখ্যার জোর দেখাতে পারেন একনাথ শিন্ডে। সূত্রের খবর, দলের দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন দেখাতে রাজ্যপালের সময় চেয়েছেন একনাথ। এরপর রাজ্যপাল উদ্ধব ঠাকরেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলতে পারেন। উদ্ধব তা করতে ব্যর্থ হলে বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করতে পারেন একনাথ শিন্ডে।
‘৪২ জনের সমর্থন পাব’
বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নেতৃত্বে থাকা একনাথ শিন্ডে বলেছেন যে তিনি শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৪২ জনের সমর্থন পাবেন।
‘প্রতিটি উন্নয়নমূলক ইস্যুকে ঘিরে ষড়যন্ত্র’
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু লোক প্রতিটি উন্নয়নমূলক ইস্যুকে ঘিরে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে এবং তাতে বাধা সৃষ্টি করে। তারা কখনই সফল হবে না। তারা যুব ও কৃষকদের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। আমি তরুণদের কাছে আবেদন করছি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তিন বাহিনীর প্রধানের ওপর আস্থা রাখতে। বিজেপি সরকার আপনাদের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস আছে, আমাদের তরুণদের দেশপ্রেমে আছে : মুক্তার আব্বাস নকভি
আজ ফের রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি
গত ১৪ জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘শান্তিনিকেতনে’ গিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজকে ফের তদন্তকারীরা রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
'বিজেপি রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি করছে না'
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাওসাহেব পাতিল দানভে বলেন যে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট শিবসেনার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বিজেপি রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি করছে না।
রাজ্যপালের সামনে শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন শিন্ডে
গতকাল চরম নাটকের মাঝেই একনাথ শিন্ডে নিজেই শিবসেনার উপর অধিকার দাবি করেছেন। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর জারি হুইপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নিজেই মুখ্য সচেতক নিয়োগ করেন একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের দাবি, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে শিবসেনার অপ্রকৃতস্থ জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে হবে। হিন্দুত্বের ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন শিন্ডে। এই আবহে আজকে রাজ্যপালের কাছে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন শিন্ডে।
আরও শক্তিশালী শিন্ডে গোষ্ঠী
আজ সকাল সকাল শিবসেনার আরও তিন বিধায়ক গিয়ে উঠেছেন গুয়াহাটির ব়্যাডিসন ব্লু হোটেলে। এর জেরে উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে থাকা বিধায়কদের সংখ্যা আরও কমল। পাশাপাশি আরও শক্তিশালী হল শিন্ডে গোষ্ঠী।
বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন শিন্ডে
বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৬ জন বিধায়ক আছে। ২৮৭ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩৮ জন বিধায়ক। এদিকে শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে বর্তমানে অন্তত ৪৬ জন বিধায়ক আছেন। যার মধ্যে শিবসেনার ৩৪ জন আছেন। আবার রাতের দিকে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিবসেনার আরও কয়েকজন বিধায়ক গুয়াহাটিতে পা রেখেছেন বলে খবর। এই আবহে শিন্ডে গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
নয়া সরকারের ফর্মুলা
একনাথ শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিল বিজেপি। আড়াই বছর আগে এই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অজিত পাওয়ারকেও। নয়া সরকার গঠন হলে শিন্ডে গোষ্ঠীকে ৯টি মন্ত্রক দিতে পারে বিজেপি। আগেরবার অজিত পাওয়ারকেও এই একই সংখ্যক মন্ত্রকের প্রস্তাব দিয়েছিল