উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পরই রাস্তা সাফ হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের। খুব সম্ভবত ১ জুলাই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করবেন নাগপুরের এই দাপুটে নেতা। তবে দলের জোট সমীকরণ থেকে সরকার গঠন, সব পরিকল্পনাই এখন দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মাথায়। খুব সম্ভবত, দুই দিন আগের দিল্লি সফরেই অমিত শাহের সঙ্গে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়ে গিয়েছে ফড়ণবীসের। তবে ‘আস্থা ভোটের’ সম্ভাবনা থাকায় সেসব প্রকাশ করা হয়নি এতদিনেও। তবে বিজেপির সরকার গঠন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এই আবহে শীঘ্রই পুরো চিত্রটি সাফ করে দিতে পারেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
গতকাল যখন উদ্ধব ফেসবুক লাইভে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করছিলেন, তখন ‘আসন্ন’ আস্থা ভোটের ছক কষতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। মুম্বইয়ের জনপ্রিয় তাজ প্রেসিডেন্ট হোটেলে হচ্ছিল এই বৈঠকটি। দেবেন্দ্রের কানে যখন উদ্ধবের পদত্যাগের খবর এল, তখন উৎসবের মেজাজ সেই হোটেলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিলকে দেখা গেল ফড়ণবীসের মুখে মিষ্টি পুড়ে দিতে। সবার মুখেই খুশির ছোঁয়া। তবে বিজেপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী? তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় আম জনতার কাছে।
এদিকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরেকেই ‘কেয়ারটেকার’ মুখ্যমন্ত্রী থাকার ‘অনুরোধ’ করলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। এদিকে সরকার হারিয়ে উদ্ধবের লড়াই এখন দল বাঁচানোর। তাঁর দলের বিদ্রোহী বিধায়করা গতকাল গুয়াহাটি থেকে গোয়া পৌঁছেছেন। সেখানকার তাজ হোটেলে আছেন তাঁরা। গতকাল রাতে সেই হোটেলেই যেতে দেখা যায় গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ পাতিল জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং একনাথ শিন্ডে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠকে বসে বিজেপি নেতৃত্ব। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্থির করার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা যায়।