গত বছর দেশে ১৬৪০৩৩ জন সুইসাইড করেছেন। সবচেয়ে বেশি সুইসাইড হয়েছে মহারাষ্ট্রে তারপরই তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশে। চতুর্থ স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্চম স্থানে কর্ণাটক।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী মূলত কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, নিঃসঙ্গতা, অত্যাচার, পরিবারে সমস্যা, মারপিট, মদ্যপান, আর্থিক ক্ষতি ও অশক্ত শরীরের কারণেই অধিকাংশ মানুষ এই চরম পদক্ষেপ নেন। অনেক সময়ই তাঁরা মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ রকম ভঙ্গুর অবস্থায় এই কাজ করেছেন। ২০২১ সালে তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭.২ শতাংশ বেড়েছে সুইসাইডের সংখ্যা।
এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ২২, ২০৭ জন, তারপরই তামিলনাড়ুতে ১৮৯২৫, মধ্যপ্রদেশে ১৪৯৬৫, পশ্চিমবঙ্গে ১৩৫০০ ও কর্ণাটকে ১৩০৫৬টি আত্মহত্যার কেস হয়েছে। অর্থাৎ দেশের ৫০.৪ শতাংশ সুইসাইড হয়েছে এই পাঁচ বড় রাজ্যে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সবচেয়ে বেশি জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে সুইসাইডের সংখ্যা অনেকটাই কম। মোট আত্মহত্যার মাত্র ৩.৬ শতাংশ হয়েছে যোগীর রাজ্যে। ইউনিয়ন টেরিটরিগুলির মধ্যে দিল্লি শীর্ষে, গত বছর ২৮৪০ জন মারা গিয়েছে। দেশের মোট ৫৩টি বড় শহরে ২৫, ৮৯১টি সুইসাইড হয়েছে। অর্থাৎ আত্মহত্যা শহরেই শুধু নয়, এটা একেবারেই অমূলক ধারণা। সুইসাইডের হার, অর্থাৎ প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় কজন এই চরম পদক্ষেপ নিচ্ছেন অনুযায়ী, ভারতে সংখ্যাটি ১২। এটি সবচেয়ে বেশি আন্দামান ও নিকোবারে ৩৯.৭, তারপরেই আছে সিকিম ৩৯.২, পুদুচ্চেরি ৩১.৮, তেলেঙ্গানা ২৬.৯ ও কেরালা ২৬.৯। ভারতের এই সব শান্ত, সুন্দর স্থানগুলিতে এত বেশি সংখ্যক মানুষ জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই নীতি নির্ধারকদের ভাবাবে।