রাজ্যের উন্নয়ন তহবিলের টাকা ব্যবহার করে বিদেশি ভ্যাকসিন আমদানি করবে মহারাষ্ট্র সরকার। মঙ্গলবার এক ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে।
আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও এই বয়স সীমার মধ্যে যাঁরা রয়েছেন, খোলা বাজারে টিকা বিক্রি শুরু হওয়ার পর কিংবা রাজ্য সরকারগুলি টিকা বিতরণের জন্য স্টক সংগ্রহ করলে, তবেই তা নিতে সক্ষম হবেন তাঁরা।
বৈঠকে রাজেশ বলেন, ‘ বর্তমানে আমাদের হাতে দু’টি ভ্যাকসিন রয়েছে, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে আমরা অন্যান্য দেশ থেকে ফাইজার-বায়োনটেক, মর্ডানা এবং স্পুটনিকের মতো অন্যান্য ভ্যাকসিনের স্টক আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কিনতে অর্থের অভাব হবে না। কারণ, আমরা ভ্যাকসিনের স্টক সংগ্রহের জন্য উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
রাজেশ আরও বলেন, ‘ ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ শ্রমজীবী ও সংক্রমণের উচ্চবাহক। সুতরাং, তারা অন্যদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ করতে পারেন। এই বয়সীদের টিকা দিলেআমরা প্রচুর পরিমাণে সংক্রমণের হার রোধ করতে পারব।’
স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে দৈনিক টিকাকরণের হার প্রায় ৩৫,০০০-এরও বেশি। ৪২০০ টির টিকা কেন্দ্র রয়েছে। রাজ্য এ পর্যন্ত ১১.৩২ কোটি নাগরিকের জন্য ১২.৭৬৭৬ কোটি ডোজ সরবরাহ করেছে। অর্থাৎ এক মাসে চার কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই হারে, বাকি ৮০ কোটি টিকা দেওয়ার জন্য এক বছরের বেশি সময় লাগবে। এই গতি আরও দ্রুত বাড়ানো দরকার।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ১৮ বছরেরও বেশি বয়সিদের জনসংখ্যা এখন ৭৩ শতাংশ। এখন ৯০ কোটিরও বেশি মানুষ এই ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য। ১৩ এপ্রিল স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়েছিল। এর প্রাথমিক ডোজ আমদানি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার জনসন অ্যান্ড জনসন ভারতে তাদের সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি ছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের জন্য অনুমতি চেয়ে ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিল।