গোয়ায় বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী গোযা ফরওযার্ড পার্টিকে নিজেদের দলের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছিল তৃণমূল। তবে সেই ইচ্ছা হিতে বিপরীত হয ঘাসফুল শিবিরের জন্য। ‘মার্জার’ করতে না চেয়ে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয় সরদেশাই হাত মিলিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। তবে তাতে দমে থাকেনি তৃণমূল। আর তাই এবার গোয়ার সর্বপ্রথম শাসকদল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্চির সাথে হাত মেলাল তৃণমূল। প্রাকনির্বাচনী জোটের ঘোষণা করে গোয়ায় নিজেদের পায়ের তলার জমি আরও শক্তি করল ঘাসফুল শিবির।
দেশজুড়ে ঘাসফুলের শাখা বিস্তারে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে গোয়া। গোয়া সফরে গিয়ে গোয়াবাসীদের নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছেন মমতা। ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সাগরতীরে যাওয়ার কথা মমতার। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরো ও গোয়ায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সভাপতি দীপক ধবলিকর। সেই বৈঠকের পরই জোটের ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের তরফে।
২০১৭-র সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের তিনটি আসনে জিতেছিল এমজিপি। সেই সময় বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে জোট সরকারে শামিল হয়েছিল তারা। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেনন দীপকের দাদা সুদীন ধবলিকর। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরে বিজেপি-র সঙ্গে এমজিপি-র সম্পর্ক বিগড়ে যায়। সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন পরিষদীয় দলনেতা সুদীন। কিন্তু দলের অন্য দুই বিধায়ক এমজিপি ত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দেন। তিন বিধায়কের দু’জন বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। এই আবহে আগামী বছরের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চায় এমজিপি। এমজিপির আশা, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদীনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে বিধানসভা ভোটে লড়তে পারে নয়া জোট। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে গোয়া পর্তুগিজ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সেরাজ্যের প্রথম শাসক দল হয় এমজিপি। ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭৯ পর্য়ন্ত একটানা গোয়ায় ক্ষমতায় ছিল তারা। এদিকে জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে গোয়া সফরে যাচ্ছেন। মমতা-অভিষেকের সফরের আগেই গোয়ায় নিজেদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করল তৃণমূল।