ফয়সাল মালিক ও সুরেন্দ্র পি গঙ্গান
বহু বিতর্কের মধ্যে সম্প্রতি পাশ হওয়া কৃষি বিল, যা এখন কৃষি আইনে পরিণত হয়েছে, তা নিয়ে বুধবার নাটকীয়ভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট করার হুমকি দেয় মহারাষ্ট্রের তিনটি দলীয় জোট শাসকদল মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদী। এদিনই জানা যায় যে এই আইন বলবৎ হওয়ার আগেই ১০ অগস্ট তা বাস্তবায়ন করানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর তার মাধ্যমে এই বছর জুন মাসে কেন্দ্রের তিনটি ফার্ম রিফর্ম অর্ডিন্যান্স বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় কৃষি কর্তৃপক্ষ অ্যাগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেটিং কমিটিগুলিকে (এপিএমসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা এদিন স্থগিত করল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বে সমবায় ও বিপণন বিভাগ।
কংগ্রেস এবং এনসিপি কঠোরভাবে এই কৃষি আইনের বিরোধিতা করেছে এবং মহারাষ্ট্রে এগুলি প্রয়োগ না করার ঘোষণাও করে দিয়েছে। অগস্টে জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে ইতিমধ্যে সমস্যায় পড়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। একইসঙ্গে এই নিয়ে এক দ্বন্দ্বমূলক মতামতও সামনে এসেছে। কংগ্রেস এই বিজ্ঞপ্তির তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে সেটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস এবং এনসিপি কৃষি আইনের বিরোধিতা করলেও তাদের প্রধান জোট শিব সেনা বা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও অবস্থান গ্রহণ করেননি।
রাজ্যের সহযোগিতা ও বিপণন মন্ত্রী বালাসাহেব পাটিল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী হিসেবে আধিকারিক বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্বাধীন অধিবেশনে শুনানি চলাকালীন ওই বিজ্ঞপ্তি তিনি স্থগিত করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি বিপণন বিভাগকে সেই মুহূর্তে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেও সে ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের প্রধান ও রাজস্বমন্ত্রী বালাসাহেব থুরাত এই চিঠি প্রত্যাহারের জন্য সহযোগিতা ও বিপণন বিভাগকে একটি চিঠি লেখেন।
ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের জন্য প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা শশীকান্ত শিন্ডের দায়ের করা আবেদনের শুনানি চলাকালীন বালাসাহেব পাটেল এই বিজ্ঞপ্তির অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস নেতা অজিত পাওয়ার গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে মহারাষ্ট্রে কৃষি বিলগুলি প্রয়োগ করা হবে না। রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান বালাসাহেব থোরাট বলেছেন যে সমস্ত ক্ষমতাসীন দল সদ্য প্রণীত এই আইনের বিরোধী এবং এগুলি রাজ্যে প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বিবেচনার পরে নেওয়া হবে।