মহারাষ্ট্রে এই প্রথমবার চিহ্নিত হল কোভিডের ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ ফোর ও বিএ ফাইভের কেস। শনিবার জানা গিয়েছে, পুনেতে অন্তত ৭ জন এই সাবভ্যারিয়েন্টগুলিতে আক্রান্ত। সেরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে একথা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে আক্রান্তদের জিনোমিক সিকোয়েন্সিং করার পর দেখা গিয়েছে, চার জন বিএ ফোর সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ও পাঁচজন বিএ ফাইভ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট সূত্রে একথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিডের ওমিক্রনের স্রোতের জেরে ভারতে ২০২২ সালের শুরুর দিকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরে কোভিডের স্রোত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে, ভারতে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ ফোর বা বিএ ফাইভের সম্ভাব্য প্রথম কেস ভারতে হায়দরাবাদে ধরা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেখানে আসা একজনের দেহে ওই সাবভ্যারিয়েন্টের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তারপরই পুনেতে এই ৭ জন আক্রান্তের ঘটনা উঠে এল।
দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার পালা। অন্যদিকে, ওমিক্রনের ফলে সেভাবে কোভিডের ভয়াবহ প্রকোপও দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বহু বিশেষজ্ঞ। তবে সতর্কতা অবলম্বন এক্ষেত্রে খুবই জরুরি। বলছেন সকলেই। ২০২১ সালে ডেল্টার প্রকোপে দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল করোনা। পরবর্তীকালে কোভিডের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু হয়, নেওয়া হয় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এরপর ২০২২ সালের প্রথমে ওমিক্রনের স্রোত ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হলেও সেভাবে তার করাল প্রভাব দেখা যায়নি।