সাংসদ পদ হারানো মহুয়া মৈত্র এবার হারাতে চলেছেন তাঁর সরকারি বাসভবন। সরকারি বাংলো খালি করার জন্য মহুয়াকে এর আগে তিনবার নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। তবে সেই নোটিশে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। এই আবহে আজ সকালে মহুয়াকে সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করতে দল পাঠাল ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছেন এক আধিকারিক। (আরও পড়ুন: 'উভয় দেশের জন্য...', মলদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যা বলল ভারত)
আরও পড়ুন: কোচিং সেন্টারে ভরতির বয়সসীমা বেঁধে দিল সরকার, প্রকাশিত নয়া গাইডলাইন
এর আগে বাংলো ছাড়ার তৃতীয় নোটিশ পেয়েই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে সেখানে জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে। উল্লেখ্য, লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কারের ঘোষণার পরই মহুয়াকে বাড়ি খালি করার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস প্রাথমিক ভাবে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাড়ি খালি করতে বলেছিল মহুয়াকে। তবে সেই সময়ের মধ্যে মহুয়া বাড়ি খালি করেননি। এরপর আরও দু'টি উচ্ছেদের নোটিশ মহুয়াকে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম নোটিসের 'ভাষা' নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তাতে আধিকারিক পাঠানোর উল্লেখ ছিল। বলপূর্বক মহুয়াকে উচ্ছেদের ইঙ্গিত ছিল সেই নোটিশে। এই আবহে দিল্লির উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেই নোটিশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন মহুয়া। তবে তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। আর মহুয়ার সেই আবেদন খারিজের একদিন পরই উচ্ছেদকারী দল পাঠাল ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস।
এর আগে একাধিকবার শো-কজ নোটিস পাঠানোর পরও সরকারি বাংলো খালি করেননি মহুয়া। এই আবহে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তৃতীয়বারের জন্য উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। সেই নোটিশে লেখা ছিল, বাংলো খালি করা না হলে প্রয়োজনে বল প্রয়োগও করা হতে পারে। এর পর প্রশ্ন ওঠে নোটিশের ভাষা নিয়ে। প্রসঙ্গত, এর আগে 'ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন করা' মামলায় লোকসভা থেকে গত ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কৃত হয়েছিলেন মহুয়া। তার পরেই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। তবে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে বাড়ি ছাড়েননি মহুয়া। এই আবহে গত ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠিয়ে মহুয়াকে বাড়ি ছাড়তে বলে ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস। ১৬ জানুয়ারির মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল মহুয়াকে। সেই সময়সীমাও পার হলে ফের মহুয়ার হাতে নোটিশ ধরানো হয়। আর এই তৃতীয় নোটিশের ভাষা ছিল বেশ কড়া। আর তা থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, মহুয়াকে বাড়িছাড়া করতে এবার বলপ্রয়োগ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই শঙ্কার মাঝেই আজ সকালে মহুয়ার বাড়িতে দল পাঠাল ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস।