নয়া টুইটে ফের একবার তোপ দেগে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দিল্লির রাজপথের নাম পাল্টে ‘কর্তব্য পথ’ রাখার কেন্দ্র সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা আসতেই তা নিয়ে রীতিমতো তোপ দাগেন মহুয়া মৈত্র। তিনি সুকুমার রায়ের এক কবিতা উদ্ধৃত করে তাঁর টুইটে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ শব্দ নিয়ে তোপ দাগেন। নিশানায় মোদী সরকার।
- দিল্লির রাজপথের নাম পরিবর্তন-
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত, দিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা লন ও রাজপথের নাম পাল্টে রাখা হবে ‘কর্তব্য পথ’। সূত্রের দাবি, ভারতের বুকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সমস্ত চিহ্ন সরিয়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছে মোদী সরকার। সেই জায়গা থেকে নেতাির মূর্তি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত জায়গার নামে পরিবর্তন আনতে চাইছে সরকার।
- মহুয়া মৈত্রের টুইট
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ঘিরে আলোচনায় যখনই উঠে এসেছে রাজপথের নাম বদলের সিদ্ধান্তের কথা,তখনই দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের তরফে উঠে আসা টুইট-বাণ। সুকুমার রায়ের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে তৃণমূল সাংসদ পোস্ট করেছেন, ‘একজনের মাথার ব্যারাম হয়েছিল সে সব জিনিসের নামকরণ করত। তার জুতোর নাম ছিল অবিমৃষ্যকারিতা, তার ছাতার নাম ছিল প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব। তার গাড়ুর নাম ছিল পরমকল্যাণবরেষু…কিন্তু যেই তার বাড়ির নাম দিয়েছে কিংকর্তব্যবিমূঢ় .. এমনি ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটারি সব পড়ে গিয়েছে।’ এই লাইনগুলি টুইট করে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘ আমি আশা করব নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নাম হবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মঠ’।
উল্লেখ্য, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর আবাসকে নতুন করে সাউথব্লকের পিছনে সরিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৫ সালে ঔরাঙ্গজেব রোজের নাম পাল্টে তা এপিজে আবদুল কালাম রোডের নামে নাম করণ করা হয়। ২০১৭ সালে ডালহাউজি রোজের নাম পাল্টে তা শিকোহ রোড করা হয়।