সম্প্রতি মারাত্মক অভিযোগ করা হয়েছে হরিয়ানার মেডেন ফার্মার বিরুদ্ধে। তাদের তৈরি করা ওষুধ খেয়ে নাকি গাম্বিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ শিশুর। এই ঘটনায় এবার মুখ খুলল অভিযুক্ত সংস্থা। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মেডেন ফার্মার তরফে বলা হয়েছে, ‘ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখছেন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন আধিকারিকরা। আমরা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। বিষয়টি বিচারাধীন এবং এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।’
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে আরও বলা হয়, ‘সরকারি সংস্থাগুলি যথাক্রমে ১, ৩, ৬ এবং ৭ অক্টোবর আমাদের ফার্ম পরিদর্শন করে যান। আমাদের সংস্থার পরিচালকের উপস্থিতিতে সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি দেখেন সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন আধিকারিকরা। তাঁরা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। প্রশ্নবিদ্ধ ওষুধের রপ্তানির জন্য আমাদের কাছে বৈধ অনুমোদন পত্র রয়েছে। আমরা দেশের বাজারে কিছু বিক্রি করছি না।’
উল্লেখ্য, হরিয়ানার মেডেন ফার্মার তৈরি প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড নামক কাশির সিরাপ ঘিরে যত বিতর্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে আসা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ওষুধগুলির পরীক্ষিত নমুনায় মিলেছে ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল। এর জেরে গাম্বিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। এই দুই পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে পেটব্যথা, বমি, মূত্রত্যাগের সমস্যা ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরপরই এই কাশির সিরাপ নিয়ে তদন্তে নামে ভারতের ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।