Baba Siddique Murder: বাবা সিদ্দিকি নাকি ‘দাউদের বন্ধু ’! সত্যিই কি ‘খুনি’ গৌতমের মগজধোলাই করেছিল বিষ্ণোই গ্যাং?

শিব কুমার গৌতম স্বীকার করেছিল, তার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এবং লরেন্সের ভাই অনমোল বিষ্ণোইয়ের নির্দেশ মেনেই সে বাবা সিদ্দিকিকে খুন করেছে।

প্রবীণ রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকিকে খুন করার জন্য, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা নাকি তার মগজধোলাই করেছিল! তারা নাকি তাকে মিথ্যা গল্প শুনিয়েছিল। যাতে সেসব থেকে সে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাবা সিদ্দিকী খুন করে! সূত্রের দাবি, পুলিশের কাছে নাকি এমনই সব আজব দাবি করেছে ১২ অক্টোবর বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় ধৃত মূল শ্যুটার।

গত মাসে মুম্বইয়ে দশেরার উৎসব চলাকালীন বাবা সিদ্দিকিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে থেকে গুলি করেছিল শিব কুমার গৌতম। ঘটনার প্রায় একমাস পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সেই সময় ওই আততায়ী নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল। তার আগেই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে।

যদিও গৌতমকে ধরার অনেক আগেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত - হরিয়ানার বাসিন্দা গুরনেল সিং এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ধর্মরাজ কাশ্যপকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল। সেইসঙ্গে, আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু, গৌতমকে ধরতে প্রায় একমাস কসরত করতে হয় পুলিশকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিব কুমার গৌতমও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও মুম্বই পুলিশের যৌথ অভিযানে বাহারাইচের নানপাড়া এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়।

মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কোনও এক সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভি-র তরফে খবর, পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরই আজব দাবি করেছে শিব কুমার গৌতম। সে নাকি পুলিশের গোয়েন্দাদের বলেছে, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তাকে বোকা বানিয়েছে। যাতে সে এই অপরাধ করে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও একজন হল - শুভম লোঙ্কার। সে এখনও পলাতক। গৌতম পুলিশকে বলেছে, এই শুভমই তাকে গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের ছবি দেখিয়েছিল এবং বলেছিল, এই ব্যক্তি ভারতের শত্রু ও বাবা সিদ্দিকি 'ভারতের শত্রু সেই গ্যাংস্টারের বন্ধু'।

যদিও পুলিশের তদন্তে আজ পর্যন্ত কখনও বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে দাউদের সম্পর্ক সংক্রান্ত সূত্র বা তথ্য উঠে আসেনি। সূত্রের দাবি, গৌতমের মুখে এসব কথা শুনে তদন্তকারীরও খানিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছেন।

যদিও পুলিশের হাতে আসা তথ্য বলছে, অল্পবয়সী ছেলেদের ভুল বুঝিয়ে তাদের দিয়ে অপরাধ করানোর জন্য এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। তারা তাদের 'টার্গেট'কে 'ভারতের শত্রু' বলে তুলে ধরে। এমনকী, অল্পবয়সীদের মোটা টাকারও লোভ দেখানো হয়। নানা ধরনের ভুলভাল গল্প শুনিয়ে অল্পবয়সীদের পথভ্রষ্ট করা হয়।

প্রসঙ্গত, ধরা পড়ার পরই গৌতম স্বীকার করেছিল, তার সঙ্গে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এবং লরেন্সের ভাই অনমোল বিষ্ণোইয়ের নির্দেশ মেনেই সে বাবা সিদ্দিকিকে খুন করেছে।