তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪১৯ জন। তুরস্কের পাশাপাশি পড়শি গ্রিসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার এজিয়ান সাগরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল সাত। প্রবল স্রোতের তোড়ে উপকূলবর্তী এলাকা এবং দ্বীপপুঞ্জের অসংখ্য বাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন তুরস্কের ইজমির শহরের বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন অনেকে। জলের তোড়ে সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, উপকূলবর্তী শহরের সেফেরিহিসারের ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।
তুরস্কের বিপর্যয় এবং জরুরিকালীন মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ১৭ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ভেঙে পড়েছে। সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। ইমজির গভর্নর জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় একটিি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের ফলে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ‘মনে হচ্ছে মৃদু সুনামি হয়েছে।’
অন্যদিকে, গ্রিসের দিকে সামোস দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্পের প্রভাবে কাঠামো, দেওয়াল, বাড়ি ভেঙে পড়েছে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোর ও কিশোরীর। আহত হয়েছেন আটজন। স্থানীয় উপ-পুরপ্রধান জর্জ বলেন, ‘আমরা কখনও এরকম কিছু অনুভব করিনি।’ গ্রিক পুলিশের মুখপাত্র জানান, দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি পুরনো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’