গালওয়ান পরিস্থিতির সমাধানে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে ভারত এবং চিন। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
সেই বৈঠকের আগের রাতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের কোনও ভিত্তিহীন দাবি যে বরদাস্ত করা হবে না। মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘অতিরঞ্জিত এবং অসমর্থনীয় দাবি করা এই ধারণার (বিদেশমন্ত্রীদের একমত হওয়ার বিষয়টি) একেবারে উলটো।’
গত মঙ্গলবার সকালে দু'দেশের সেনার সংঘর্ষ নিয়ে সাউথ ব্লকের বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরেই চিনা সেনার পশ্চিম থিয়েটার কম্যান্ড ঝ্যাং শুইলি প্রথম দাবি করেন, ‘গালওয়ান উপত্যকা এলাকার উপরে চিনের সার্বভৌমত্ব রয়েছে।' তারইমধ্যে দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) আধিকারিকের সেই দাবি পড়ে শোনায় চিনা বিদেশ মন্ত্রক। তার রেশ ধরেই সেই কড়া বিবৃতি দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়, সার্বিক পরিস্থিতি 'দায়িত্বপূর্ণভাবে সামলানো' এবং গত ৬ জুন দু'দেশের মিলিটারি কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা 'কঠোরভাবে পালন'-এর বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই বিদেশমন্ত্রী।
অন্যদিকে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্য সমাবেশ বাড়াচ্ছে চিন। এই অবস্থায় সতর্ক থাকছে ভারতও। তিন বাহিনীই তৎপর রয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে সামরিক বাহিনীর তিন আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে সেনার অবস্থান শক্তিশালী করা হচ্ছে। সেখানে বাড়তি সেনা পাঠানো হয়েছে। যে কোনও সম্ভাব্য ঘটনার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে রাখছে ভারতীয় বায়ুুসেনা। সতর্কতা জারি হয়েছে নৌবাহিনীতেও। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনও কাজের জন্য অনেক যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।