এয়ার ইন্ডিয়ার বড় বিমান দুর্ঘটনা!মালিক টাটার স্টকে ধস, রক্তাক্ত দালাল স্ট্রিট

টাটার বিমান পরিবহনের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা। গুজরাটের আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৪২ জনকে নিয়ে সেখানেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। আর তারপরই হুড়মুড়িয়ে পড়তে শুরু করে টাটার বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দামও। শুরু টাটা গোষ্ঠী নয়, বৃহস্পতিবার রক্তাক্ত শেয়ার বাজার। এক শতাংশ পড়ল সেনসেক্স এবং নিফটির সূচক। ফলে লক্ষ্মীবারে বিপুল টাকা হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছে লগ্নিকারীদের।

তথ্য বলছে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। আর তারপর ১ টা বেজে ৫৬ মিনিট থেকে ২টো ২৬ মিনিট, এই ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রায় ০.৭৭ শতাংশ পড়ে যায় টাটা কন্সাল্টেন্সির শেয়ারের দাম। দুর্ঘটনার পরে ১টা ৫৬ মিনিট থেকে ২টো ১৪ মিনিটের মধ্যে প্রায় ০.৬৯ শতাংশ পড়েছে টাটা টেকনোলজিসের শেয়ার। পড়েছে টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের স্টকের দামও। ২টো বেজে ২ মিনিট থেকে ২টো ১৪ মিনিটের মধ্যে প্রায় ০.৮৫ শতাংশ পড়েছে টাটা টেকের শেয়ারের দাম। তবে বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে টাটার শেয়ারের পতনের সোজাসুজি কোনও যোগ আছে কি না, তা বলা যায় না।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পজিটিভে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের শেয়ার বাজার। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। স্টক মার্কেট খোলার এক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নেগেটিভে চলে যায় প্রধান দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূচকের গ্রাফ। তারপর বেলা যত গড়িয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি৫০-র পতন হয়েছে।দিনের শেষে সেনসেক্সের পয়েন্ট কমেছে ৮২৩ পয়েন্ট। এর জেরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৬৯১ পয়েন্টে। এদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকে পতন হয়েছে ২৫৩ পয়েন্ট। ফলে নিফটি৫০ রয়েছে ২৪ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে। পাশাপাশি সেক্টরাল বিভিন্ন সূচকও মুখ থুবড়ে পড়েছে বৃহস্পতিবার। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সমস্ত সেক্টরাল সূচকের পয়েন্ট কমেছে। একই চিত্র বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জেও।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ফের উত্তাল হয়েছে মধ্য প্রাচ্যে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্য প্রাচ্য থেকে নিজেদের সেনার একাংশ সরিয়েছে। ইজরায়েল ইরানে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব দেশের শেয়ার বাজারে পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।