পথ দুর্ঘটনায় আহতদের 'গোল্ডেন আওয়ার'-এ বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করার জন্য আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে নীতি প্রণয়নের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একেবারে কড়া ভাষায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্র যেন কোনওভাবেই মনে না করে যে ওই নীতি প্রণয়নের জন্য পরবর্তীতে সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে। কারণ মোটর ভেহিকেলস আইনের আওতায় সেই নীতি প্রণয়ন করতে বাধ্য কেন্দ্রীয় সরকার।
যত দ্রুত সম্ভব নীতি তৈরি করুন, বলল সুপ্রিম কোর্ট
শীর্ষ আদালতের কথায়, 'গোল্ডেন আওয়ারে ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য (মোটর ভেহিকেলস আইনের) ১৬২ ধারার আওতায় যে নীতি আছে, তা সংবিধানের ২১ ধারার আওতায় থাকা জীবনযাপনের অধিকারকে বজায় রাখে এবং সেই অধিকারকে সুরক্ষিত করে।' সেইসঙ্গে বিচারপতি ওকা এবং বিচারপতি মাসিহের বেঞ্চ বলেছে, ‘তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছি যে (তারা) যেন যত দ্রুত সম্ভব একটি নীতি তৈরি করে। যাই হোক না কেন, ২০২৫ সালের ১৪ মার্চের মধ্যে সেই নীতি প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: Accident Prone States: সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই ৪ রাজ্যে, হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ গডকড়ি
অনেকের জীবন বাঁচবে, মত সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার সেই নীতি প্রণয়ন করলে অনেক মানুষের জীবন বেঁচে যাবে। কারণ তাঁরা দুর্ঘটনার পরে 'গোল্ডেন আওয়ার'-এ (দুর্ঘটনা হওয়ার পরবর্তী এক ঘণ্টাকে গোল্ডেন আওয়ার বলা হয়, যে সময় আহত যদি ঠিকঠাক চিকিৎসা পান, তাহলে বেঁচে যাওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা থাকে) চিকিৎসা পাবেন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহতদের ভরতি নিতে অনীহা প্রকাশ করে, কারণ বিল কে মেটাবেন, তা নিয়ে ধন্দে থাকে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 'গোল্ডেন আওয়ার'-র সময় নষ্ট হয়। তাছাড়াও অন্যান্য কারণ থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি নীতি প্রণয়ন করে, তাহলে সেই সময় নষ্ট হবে না বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
আরও পড়ুন: সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী, এক বছরে তিন ভাগ কমল রাজ্যের এই ভাতা
ফান্ড তৈরি হয়েছিল, তবে নীতি নেই
তারইমধ্যে এটাও জানানো হয়েছে যে 'গোল্ডেন আওয়ার'-এ চিকিৎসা প্রদানের জন্য 'মোটর ভেহিকেল অ্যাক্সিডেন্ট ফান্ড' তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই ফান্ডের আওতায় ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ১,৬৬২ জন আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু সেইসময় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নীতি ছিল না। যে নীতি দু'মাসের মধ্যে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।