ভিড় এড়াতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল গাড়িটি। রবিবার রাতে, মালাউইয়ের প্রয়াত ভাইস প্রেসিডেন্টের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় একটি বড় দুর্ঘটনার ঘটে গিয়েছে। মর্মান্তিকভাবে, প্রেসিডেন্টের মৃতদেহ বহনকারী একটি গাড়ি এদিন এনচেউ গ্রামে শোকাহতদের চাপা দিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। ১২ জন আহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা। তাঁর সঙ্গে ওই প্লেনে উপস্থিত আরও ৯ জনও প্রাণ হারিয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে বিমানটি মালাউইয়ের জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল বলে খবর। যে গাড়িটি এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসেছে, সেই মৃতদেহ বহনকারী কাফেলার অংশ ছিল। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দুর্ঘটনার ফলে ২ মহিলা এবং ২ পুরুষ পথচারীর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং একাধিক ফ্র্যাকচার হয়ে গিয়েছিল, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া আরও বলেছেন যে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।
কীভাবে ঘটেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি
সোমবার শেষকৃত্যের আগে সাওলোস চিলিমার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁর গ্রাম এনসিপ্পে। গাড়ি, অন্যান্য সামরিক, পুলিশ এবং বেসামরিক যানবাহনও ছিল এই কাফেলার মধ্যে। রাজধানী লিলংওয়ে থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে চিলিমার গ্রাম। তাঁর মৃত্যুতে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। গাড়িটি এগোনোর সময় উপ-রাষ্ট্রপতির আভাস পেতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় শোকাকুল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানিয়েছেন যে গাড়িটি সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ভুল করে ভিড়ের মধ্যে চলে গিয়েছিল। চিলিমার দলের মুখপাত্র ফেলিক্স নজাওয়ালার দাবি, শোকার্তরা মিছিল বন্ধ করে, কফিন দেখতে চেয়েছিলেন। রুটের কিছু জায়গায় উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ কনভয়কে লক্ষ্য করে পাথরও ছুঁড়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে
বৃহস্পতিবার বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত দাবি জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক দলটি। রবিবার বিকেলে লিলংওয়ের একটি স্টেডিয়ামে জনসাধারণের দেহ দেখার সময়, চাকভেরা দুর্ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, মানুষ জানতে চায় কীভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং অন্যদের বহনকারী বিমানটি নিখোঁজ এবং ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমিও জানতে চাই কী ঘটেছে। উল্লেখ্য, মালাউই আর্মি এয়ার উইং ডর্নিয়ার ২২৮-২০২কে বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার কারণেই উত্তরের শহর মুজুজুতে অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল।