মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে যোগব্যায়াম অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার কয়েকমাস পর অবশেষে নড়েচড়ে বসল সেদেশের প্রশাসন। এই ঘটনায় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ দায়ের করল সে দেশের সরকার। মঙ্গলবার মালদ্বীপ সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী সেক্ষেত্রে অভিযুক্তরা অপরাধী প্রমাণিত হলে তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মলদ্বীপে ভারতের যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেডিয়ামে হামলা, আশ্বাস কড়া পদক্ষেপের
জানা গিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশন মালদ্বীপে গত ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং সাধারণ জনগণ যোগব্যায়ামে অংশগ্রহণ করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল।
দ্য মালদ্বীপ জার্নালে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়েছে যে শেখ ফজলুন মহম্মদ এবং শেখ আদম নিশান নামে মালদ্বীপের দুই বাসিন্দার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সন্ত্রাসবাদের কাজে উৎসাহিত করার জন্য মামলা করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে একজনের কাছ থেকে একটি সন্ত্রাসবাদ সংগঠনের নথি পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানের সময় বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড দেখায় যে যোগব্যায়াম ইসলামের নীতির পরিপন্থী। এরপর বিক্ষোভকারীরা মাঠে ভাঙচুর শুরু করে। তাদের দাবি ছিল, অবিলম্বে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। সেই ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু হয় এবং সফলভাবে সম্পন্ন হয়।