আগামী ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মরিশাস, সেশেলসের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে মলদ্বীপের। মোদী ২.০-র সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মুইজ্জু প্রশাসনের। তবে ভারতের বিদেশ নীতির অন্তরঙ্গ মন্ত্র - প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই মন্ত্রেই মুইজ্জুকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: TMC থেকে কলকাতার ৪০টি ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিল বিরোধীরা! গেরুয়াময় নিউটাউন)
আরও পড়ুন: বদল অঙ্কে,২৪-র নিরিখে ২১-র থেকে কম বিধানসভায় এগিয়ে TMC! বাড়ল BJP, খাতা খুলল বাম
এর আগে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরই বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো মুইজ্জুও সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এর আগে কয়েক মাস আগে যখন চিনপন্থী মুইজ্জু মলদ্বীপের মসনদে বসেন, তখন মোদীও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার অভিযানেই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন মুইজ্জু। আর তিনি মলদ্বীপের মসনদে বসার পরই রীতি ভেঙে ভারতের বদলে প্রথম বিদেশ সফরে চিনে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। পরে তাঁর সরকারের তিন প্রতিমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেন। তা নিয়ে ফের জলঘোলা হয়। সেই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়। সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মুইজ্জু নাকি ভারত সফরে আসতেও চেয়েছিলেন। তবে পরে আর দিল্লি সেই সফরের আবেদনে সাড়া দেয়নি। এই আবহে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম ভারতে আসতে পারেন মুইজ্জু। দিল্লির আমন্ত্রণ মুইজ্জু গ্রহণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে ভারত সফরে সেদেশের আরও তিন মন্ত্রী থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: শুরু NDA-র বৈঠক, কারও চাই রেল, কারও বিশেষ প্যাকেজ, BJP-র শরিকদের কার কী দাবি?)
আরও পড়ুন: ভোটের পর বড় ঘোষণা RBI-এর, ঋণগ্রহীতারা EMI নিয়ে পাবেন কোনও স্বস্তি?
উল্লেখ্য, চিনপন্থী মুইজ্জু প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, মলদ্বীপের মাটিতে কোনও ভারতীয় সৈনিক থাকতে পারবে না। সেই নিয়ে দিল্লিকে তিনি বারবার আক্রমণ শানিয়েছিলেন। 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচার শুরু করেন মুইজ্জু। এই আবহে মালে ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য বা অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভারতের তরফ থেকে দু'টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল মলদ্বীপকে। সেই তিন বায়ুযান পরিচালনার জন্যেই ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান মলদ্বীপে মোতায়েন ছিলেন। তাদের সরানো হয়েছে মলদ্বীপ থেকে। এই সেনা জওয়ানদের সরাতে ১০ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ভারত তাদের জওয়ানদের সরিয়ে নিয়ে আসে। বদলে সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের সেখানে নিযুক্ত করা হয়।