কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের প্রচারে ভারতীয় সেনাকে ব্যবহার করার একটি সংবাদ প্রকাশ্যে আসার পরেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। ৫ রাজ্যে নিবার্চনের আগে এনিয়ে রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। বিরোধী নেতারা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এবার এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শাসিত বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকাজুর্ন খগড়ে। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে আঘাত করেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ক্ষমতায় এলেই সঙ্গে সঙ্গে মহিলা সংরক্ষণ বিল, বড় কথা জানিয়ে দিল কংগ্রেস
মল্লিকার্জুন খড়গে কেন্দ্র সরকারকে নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শাসকদল সৈন্যদের জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে তাদের মর্যাদাকে আঘাত করেছে। তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার সেনাবাহিনীকে সারা দেশে সেলফি পয়েন্ট স্থাপন করতে বলেছে, যেখানে সৈন্যদের সাহসিকতার পরিবর্তে তাঁর সরকারের প্রকল্পগুলি প্রচার করা হবে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মল্লিকার্জুন খড়গে লেখেন, ‘দেশকে রক্ষাকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসী সৈন্যদের জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে মোদী নিজের প্রচার করছেন। রাজনৈতিকভাবে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করে মোদী সরকার এমন কিছু করেছে যা গত ৭৫ বছরে কখনও ঘটেনি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সরকারী প্রকল্পের প্রচারের জন্য মোদী সরকার সেনাবাহিনীকে সারা দেশে ৮২২টি সেলফি পয়েন্ট স্থাপন করতে বলেছে। সেখানে সৈন্যদের সাহসিকতার গল্পের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মূর্তি, ছবি এবং তাঁর প্রকল্পের বিবরণ থাকবে।’ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। বিজেপি যারা জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে আঘাত করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি এবিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘গত সাড়ে ৯ বছরে সমস্ত দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। এখন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য এবং সরকারকে অবিলম্বে এই ভুল পদক্ষেপ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’