দেশে ফের এক রেল দুর্ঘটনার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এবার চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী এক্সপ্রেসে ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ২ জনের মৃত্যু ও ২০ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এই রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মল্লিকার্জুনের সাফ দাবি, ‘ ভারতীয় রেলকে জর্জরিত করে রাখা ত্রুটির’ জন্য দায় নিতে হবে মোদী সরকারকে।
মল্লিকার্জুন খাড়গে, তাঁর পোস্টে এই রেল দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, শোকপ্রকাশ করেন, পাশাপাশি আহতদের সেরে ওঠার প্রার্থনাও করেন। তবে মোদী সরকারকে টার্গেট করে তিনি লেখেন, ‘ উত্তরপ্রদেশে চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হল মোদী সরকার কীভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রেল নিরাপত্তাকে বিপন্নতার মুখে ফেলেছে তার আরেকটি উদাহরণ। শোকাহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের প্রতি আমাদের ভাবনা ও প্রার্থনা রয়েছে।’ এর আগে দেশে, একাধিক রেল দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি ত্রুটির দিকটি তুলে ধরেন। পোস্টে মল্লিকার্জুন খাড়গে লেখেন, ‘এক মাস আগে, শিয়ালদহ-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাথে একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার বলেছিলেন যে দুর্ঘটনাটি ‘হওয়ার অপেক্ষাতেই ছিল। অটোমেটিক সিগন্যালের ব্যর্থতা, অপারেশন পরিচালনায় একাধিক স্তরে ত্রুটি, এবং লোকো পাইলট এবং ট্রেন ম্যানেজারের সাথে ওয়াকি-টকির মতো গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জামের অনুপলব্ধতা তদন্তের রিপোর্টে সংঘর্ষের কিছু কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
খাড়গেরর দাবি সব ট্রেনের রুটেই যেন কবচ অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম বসানো হয়। তিনি পোস্টে লিখছেন,' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর রেলমন্ত্রী, তাঁরা দায় নিন ভারতীয় রেলকে ব্যাপক ত্রুটিতে জর্জরিত করার জন্য। আমাদের একক দাবি -- বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা রোধ করতে ভারত জুড়ে সমস্ত রুটে কবচ অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম দ্রুত ইনস্টল করা উচিত।' বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, গোন্ডায় ৮ টি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। ঘটনার পরই উত্তর প্রদেশের প্রশাসন সেখানে উদ্ধার কাজে প্রশাসনিক দল পাঠিয়ে দেয়। চলে উদ্ধার কাজ। পৌঁছয় মেডিক্যাল টিম।