রাজ্যসভায় এদিন ভাষণে কংগ্রেসকে একের পর এক তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণে এদিন বাবা সাহেব আম্বেদকর প্রসঙ্গ থেকে জওহরলাল নেহরু প্রসঙ্গ উঠে আসে। এছাড়াও ইমার্জেন্সির সময়ের কথাও উঠে আসে মোদীর ভাষণে। এছাড়াও মল্লিকার্জুন খাড়গের কথা তুলেও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। আর এই সমস্ত পর্বের পর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে পাল্টা জবাব দেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন,' যিনি অতীতে পড়ে থাকেন তিনি বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য কী তৈরি করবেন? বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য, মন্দা, ভারতীয় মুদ্রার পতন, ব্যক্তিগত বিনিয়োগের পতন এবং ব্যর্থ 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নিয়ে কথা না বলে মোদীজি কেবল কংগ্রেসকেই দোষারোপ করতে থাকেন।' কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেছেন যে দলিত, উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্রদের জন্য পরিকল্পনার কথা বলার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী ‘ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করে’ রাজ্যসভাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময়, কংগ্রেস দাবি করার চেষ্টা করেছিল যে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক তথ্যের উপর তার দাবিগুলিকে প্রমাণ করুন।এর আগে মোদী বলেছিলেন,' ‘যখন নেহরুজি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন শ্রমিকদের একটি বিক্ষোভ হয়েছিল, সেখানে বিখ্যাত গীরিকার মজরু সুলতানপুরীজি একটা গান গেয়েছিলেন… সেই কবিতা গেয়ে শোনানোর অপরাধে নেহরুজি দেশের একজন মহান কবিকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।' এছাড়াও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মোদী তাঁর ভাষণে দেব আনন্দ, কিশোর কুমার, বলরাজ সাহানিদের প্রসঙ্গ তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাবাসাহেব আম্বেদকর ইস্যুতে কংগ্রেসকে টার্গেট করার পর খাড়গে বলেন, ‘বাবা সাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকরকে গণপরিষদে আনার জন্য কংগ্রেস তার সদস্য এমআর জয়কারকে মুম্বই থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। তিনি পন্ডিত নেহরুর সরকারে দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী হন। কংগ্রেস দল চেয়েছিল বাবা সাহেবকে সম্মানের সঙ্গে রাজ্যসভায় পৌঁছানোর জন্য, এটা তাঁকে সাহায্য করেছে।’ খড়গে আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ‘বাবা সাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর নিজেই একটি চিঠি লিখেছিলেন যাতে প্রকাশ করা হয়েছিল যে এসএ ডাঙ্গে এবং সাভারকর তাঁর পরাজয়ের জন্য দায়ী।’ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা বোঝায় যে ‘তিনি দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার ভুল স্বীকার করেছেন’। খাড়গে বলেন,' আমি দেশের যুবকদের সতর্ক করতে চাই মোদিজির মিথ্যার শিকার না হতে, দেশের ইতিহাস পড়ুন এবং আরএসএসের প্রচার এড়িয়ে চলুন। আজ তিনি আমাদের লাইনকে ছোট করে তাঁর লাইনকে বড় দেখানোর চেষ্টা করছেন!' খাড়গে বলছেন,' বিভিন্ন দেশ আমাদের শুক্ল চাপিয়ে ফাঁদে ফেলছে, অথচ সরকারের কাছে নীতি নেই। যাঁরা ধনী তাঁরা দেশ ছাড়ছেন, স্মার্ট সিটি তো ভুলে যান, আমাদের শহরগুলিও বেঁচে থাকার যোগ্য নয়। প্রতিদিন গণতন্ত্র আর সংবিধানকে টুকরো করা হচ্ছে।