কোথাও পিকচারে নেই কংগ্রেস। কংগ্রেসকে ছাড়াই জাতীয়স্তরে বিরোধীদের জোট তৈরির উদ্যোগ। কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব রাখতে চাইছেন তারা। মোটামুটিভাবে বিজু জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি ও তৃণমূল এনিয়ে একমত হচ্ছেন বলে খবর। এদিকে কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির চিফ অখিলেশ যাদব তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন দেখা করেন। আগামী সপ্তাহে বিজেডির প্রধান নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে ওড়িশায় দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁদের লক্ষ্য একটাই কংগ্রেসকে ছাড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া।
বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে তারা কোনওভাবেই রাহুল গান্ধীকে মানতে রাজি নন। এদিকে সম্প্রতি লন্ডনে রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন সংসদে বিরোধীরা বলতে উঠলে মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সংসদে হইহট্টগোল করছে বিজেপি। তৃণমূল সহ বিরোধীদের দাবি, রাহুলকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কোণঠাসা করছে বিজেপি।
শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিদেশে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। এরপর ক্ষমা না চাইলে বিজেপি সংসদ চালাতে দেবে না বলছে। তার মানে কংগ্রেসকে ব্যবহার করে তারা সংসদ অচল করে দিতে চাইছে। বিজেপি চায় রাহুল গান্ধী বিরোধীদের মুখ হোক। কারণ এতে তাদের সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কাউকে ঠিক করার দরকার নেই। বিরোধীদের বিগবস হিসাবে কংগ্রেসকে তুলে ধরা হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেক্ষেত্রে হিসেব যা দাঁড়াচ্ছে তাতে জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের এখন দুজন শত্রু। একজন হল বিজেপি ও অপরজন হল কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট কীভাবে সম্ভব সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে কি বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই তৃণমূল এখন জাতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে চাপে রাখার রাস্তায় নামল?
সেক্ষেত্রে সেই তৃতীয় ফ্রন্টের ধারনাটা কোথায় গেল? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৩ মার্চ নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। বিরোধীদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। আমরা বলছি না যে এটা তৃতীয় ফ্রন্ট। তবে বিজেপির সঙ্গে লড়ার মতো ক্ষমতা আঞ্চলিক দলগুলির আছে।
এদিকে অখিলেশ যাবদ জানিয়েছেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা সমদূরত্ব বজায় রাখব। বাংলায় আমরা মমতা দিদির সঙ্গে রয়েছি। আমাদের অবস্থান হল বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা সম দূরত্ব বজায় রাখব। বিজেপি ভ্য়াকসিন যারা পেয়েছে তাদের পেছেন ইডি, সিবিআই নেই।
তবে অনেকের মতে রাহুল গান্ধীকে বাদ দিয়ে কি বিরোধীরা খিচুড়ি ফ্রন্টের দিকে এগোচ্ছেন? কিন্তু সেটা কি বাস্তবে সম্ভব?