কয়েকদিন আগেই কোভিড নিয়ে ভআর্চুয়াল বৈঠকে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জ্বালানির দাম নিয়ে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বকেয়া নিয়ে সুর চড়ান। এই আবহে গতকাল দিল্লিতে হাই কোর্টের বিচারপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীদের যৌথ সম্মেলনে মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। দুই নেতার মধ্যে কুশল বিনিময় হয় এদিন। সম্মেলনে মোদীর বক্তৃতার প্রশংসাও শোনা যায় মমতার গলায়। বিগত কয়েকদিন ধরে চলা ‘বিরোধে’র আবহে তা বেমানান। যদিও তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার প্রশংসা করা ‘সৌজন্য’ মাত্র।
দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বিচারপতি-মুখ্যমন্ত্রীদের যৌথ সম্মেলন শেষে চা পর্বে মুখোমুখি হন মোদী ও মমতা। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধআন বিচারপতি এনভি রামানাও। মমতা প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিচারপতি রামানাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সঙ্গে মোদীকে মমতা বলেন, ‘সম্মেলনে বক্তৃতা ভালো হয়েছে।’ এদিকে মোদীও ধন্যবাদ জানান মমতাকে। এরপরই দুই নেতার একান্তে কথা হয় বলেও জানা গিয়েছে। যদিও এর আগে মমতা বলে গিয়েছিলেন যে মোদীর সঙ্গে তিনি একান্তে সাক্ষাত করবেন না। একান্তে সাক্ষাত হয়ত এটা নয়, তবে দুই জনের এই একান্তে কথা বলা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে একান্তে কথা-বার্তা হলেও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নৈশভোজে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
আরও পড়ুন: অর্জুনের ‘পাট বিদ্রোহে’ ইতি? পীযূষ সাক্ষাতে ‘সুর বদল’ ব্যারাকপুরের সাংসদের
এদিকে এই সম্মেলনের দৌলতে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যোগী আদিত্যনাথকে প্রকাশ্যে মুখোমুখি হতে দেখা যায় শনিবার। বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনাসভায় পাশাপাশি আসন পড়েছিল ২ জনের। দুই জনকে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় দেখা যায় এদিন। মমতার জন্যে চেয়ার টেনে দিতেও দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।