কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান চাপানউতোরের প্রভাব পড়তে পারে বিরোধী ঐক্যের উপর। ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে ১৮ টি বিরোধী দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সূত্রের খবর বিরোধী দলগুলির সেই বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের প্রেক্ষাপটে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও হয়ত সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এই যাত্রায় দেখা করবেন না।
এদিকে বিরোধী দলগুলির বৈঠক পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, 'আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সংসদ অধিবেশনের কৌশল নির্ধারণের জন্য ফ্লোর লিডাররা মিলিত হব। ২০২৪ সালের নির্বাচন সংক্রান্ত বৃহত্তর ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোর বৈঠক পরে অনুষ্ঠিত হবে।'
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সোমবার সন্ধ্যায় জানান যে তৃমূল প্রধান এখনও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাননি। মমতার সহযোগী বলেন, 'আমরা এখনও পর্যন্ত তাঁর (সোনিয়া গান্ধী) অফিস থেকে দুই নেতার বৈঠকের জন্য কোনও আমন্ত্রণ পাইনি।' যদিও মমতার অপর এক সহযোগীর কথায়, 'সোনিয়া-মমতার বৈঠকের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কিছুই নির্ধারিত নয়।'
জানা গিয়েছে, এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। আর তাঁর এই সফর নিয়ে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'তাঁর একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। বিএসএফের এক্তিয়ার সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।'
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে মমতার এই দিল্লি সফর বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর আগে জুলাই মাসে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম দিল্লি সফর। সেই সময় সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা। তবে জুলাইয়ের পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এই আবহে সবারই নজর দিল্লিতে মমতার গতিবিধির উপর।