একুশের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হ্যাট্রিক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই তাঁর পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সরিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। তার জন্য প্রয়োজন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ জোটের। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। মমতাও এই জোট প্রক্রিয়াকে সফল করতে প্রশান্ত কিশোর–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়কে সামনে এনেছেন। এবার বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ তিনি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলার স্বার্থে। তারপর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বুধবারই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ রয়েছে।’ অর্থাৎ বৈঠক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। কারণ যদি সোনিয়া–মমতা বৈঠকে জোট করার সিদ্ধান্ত হয় তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী–শাহ জুটিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে অভিনেত্রী শাবানা আজমী এবং গীতিকার জাভেদ আখতারের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন কংগ্রেসের শীর্ষনেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এমনকী তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমকে এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে মমতার।’ যে মন্তব্য আজ রাজধানীতে জোর চর্চা শুরু করেছে।
আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। তাতে আরও জোট নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মমতাকে অনেকদিন ধরেই চিনি। অনেকদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। জয়ের জন্য ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এদিন দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।’