ছট উৎসবে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'ঠেকুয়া খেতে আমি খুব ভালোবাসি। কিন্তু বেশি খাই না।' এরপর গুরুনানকের জন্মদিনে শিখ সমাজের আয়োজিত উৎসবে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমার ঘরে একটু হালুয়া পাঠাবেন।' এ যেন ছিল দিদির আবদার! সোমবার শহিদ মিনারে গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শিখ সমাজের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি একথা বলেন।
উল্লেখ্য, এই শহিদ মিনারের নিচেই চলছিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ঘিরে চাকরি প্রার্থীদের প্রতিবাদ সভা। সকালে তাঁদের অনুরোধ করে এলাকা ফাঁকা করে কলকাতা পুলিশ। তারপরই এখানে শিখ সমাজের ওই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিকেলে সেখানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ে যান পুজোর উপাচার। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, 'আমার সঙ্গে আপনাদের সারা বছরের যোগাযোগ রয়েছে। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাব।' এরসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পঞ্জাব ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এক। আন্দামান গিয়ে দেখুন। সেখানে সেলুলার জেল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জনগণমন লিখেছিলেন পঞ্জাবকে শুরুকে রেখে। পঞ্জাবের মানুষ দেশকে রক্ষা করে। সীমান্তে তাঁরা অনেকেই আছেন। এঁরা দেশের জন্য কাজ করেন। জো বোলে সো নিহাল... আমি এখানে এসে খুব খুশি।'
কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল 'ব্লক' এর নির্দেশ কোর্টের! উঠল কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ
এদিনের অনুষ্ঠানে গুরুনানক ভবনের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তিনি বলেন,'আপনারা এর কথা আমায় বলেছেন। ওটা ৬ কোটি টাকার প্রপার্টি। আমাদের সেটা করা একেবারেই সম্ভব নয়।' উল্লেখ্য শিখ সমাজের অনুষ্ঠানে নানান প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মমতা হালুয়া নিয়ে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তা কেড়েছে অনেকেরই নজর। মূলত, শোনা যায় ব্যক্তিগত জীবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। তিনি রোজই ট্রেডমিল করেন। এছাড়াও খুবই পরিমাপ করে খাবার খান। খাবার খাওয়ার বিষয়ে তিনি সচেতনতা অবলম্বন করেন। হাঁটার ব্যাপারেও তিনি বেশ সচেতন। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফিটনেস নিয়ে বেশ সচেতনতা দেখান।