উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘোষণা করেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপরই নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শরদ পাওয়ার অনেক দেরিতে ফোন করেছিলেন নেত্রীকে। তার জেরে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু বাস্তবে ঠিক কেন মার্গারেট আলভাকে সমর্থন জানাল না তৃণমূল?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচেনের প্রার্থী বাছাইয়ের সময় থেকেই তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। আসলে প্রার্থী হিসাবে শরদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তিনি প্রার্থী হতে চাননি। এতে গোঁসা হয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে পরে যশবন্ত সিনহা প্রার্থী হন। আর সেই নামটি প্রস্তাব করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব।
অবশ্য বোঝানোর পরে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পরে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিলেন যশবন্ত তাঁদেরই পছন্দের প্রার্থী ছিলেন। এবার প্রশ্ন উঠছে তবে কি উপরাষ্ট্রপতি পদে শরদ পাওয়ারদের পছন্দ করা প্রার্থীকে সমর্থন না করে কার্যত আগের অসন্তোষের জবাব দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
আসলে জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের সমস্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নেবেন এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেখানে পান থেকে চুন খসলেই বেঁকে বসছেন তাঁরা। এদিকে জাতীয় স্তরে এখন প্রশ্ন উঠছে, যে তৃণমূল বার বারই বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলছে কিন্তু বাস্তবে তাঁরা নিজেরাই জোটের সিদ্ধান্তের পাশে থাকছেন না।