ত্রিপুরায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। 'আটকে' রাখা হয়েছে হোটেলেও। এবার অ্যাই প্যাকের সংস্থার কর্মীদের 'হেনস্থার' প্রতিবাদে ত্রিপুরার মাটিতে প্রতিবাদ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। প্রয়োজনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে ত্রিপুরায় আসবেন, সেই কথাও জানিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে।
বুধবার ত্রিপুরায় আসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটক। এছাড়াও আসেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই তিন প্রতিনিধি আই প্যাকের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করতে যান। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘দলনেত্রীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখানে আসবেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, 'বিজেপি বুঝে গিয়েছে, তাদের যদি কেউ আটকাতে পারে, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে যদি একজন অপরজনের সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, তাহলে তা খুবই সাংঘাতিক বিষয়। একই সুরে কথা বলেছেন রাজ্যের অপর মন্ত্রী মলয় ঘটকও। তিনি জানান, ‘সারা দেশে যেমন গণতন্ত্র বিপন্ন, তেমনই ত্রিপুরাতেও গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।
সম্প্রতি আইপ্যাকের কর্মীদের আটকে রাখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানান, ‘বামেদের যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হয়, ততই ভালো। তবে ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি তৃণমূলেরই আছে।’
এদিকে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ত্রিপুরা সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে যে কেউ যে কোনও রাজ্যে ঢুকতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গেও প্রশাসনিক পদে থাকা অনেক বিজেপি নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছে।