আর কয়েক ঘণ্টা পরই দিল্লিতে পা রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত বিরোধী ঐক্য বৃদ্ধি করতেই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাতে দিল্লিতে যাচ্ছেন মমতা, সেই মোদীর সঙ্গেও এই সফরকালে সাক্ষাত হওয়ার কথা তাঁর। উল্লেখ্য, আলাপন অধ্যায়ের পর প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে ১৫ মিনিট ধরে এই বৈঠক চলবে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপিকে মাত দেওয়ার পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে আজ রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যেখানে পরপর রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ২৮ জুলাই বঙ্গভবনে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট গঠনের লক্ষ্যে বৈঠকও করবেন মমতা।
২৬ জুলাই দিল্লি পৌঁছে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রথমসারির নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। ২৭ জুলাইয়েও তাঁর ঘোষিত কোনও কর্মসূচি নেই। তবে সেই দিন তিনি সংসদে যেতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করা হয়েছিল সাংসদদের তরফে। আর সেই সূত্রে, তিনি সংসদে গিয়ে দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তাছাড়া বিজেপি বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে সংসদে আলাদা বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
পাশাপাশি মমতার দিল্লি সফরের দ্বিতীয়দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে, সেই সাক্ষাৎকার কবে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে সময় পেলে ২৭ জুলাই এই সাক্ষাৎ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে পুরোটাই রাষ্ট্রপতি ভবনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
অন্যদিকে, ২৮ জুলাই বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার। লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুযায়ী, এই সাক্ষাৎকারে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে দুই প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে। যেখানে করোনা পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনেশন এবং ঘূর্ণিঝড় যশের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরবেন। অন্যদিকে, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং কলকাতা হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।